
প্রদীপ কুমার সিংহ
ভীম একাদশী উপলক্ষে বারুইপুর সদাব্রত ঘাটে মেলা বসেছে। প্রতি বছরের মত এবারেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ছাড়া অন্যান্য জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ ভীম একাদশী দিন এই মেলায় ভীড় করেছিলেন ।
জানা গেছে ভীম একাদশী হয় তার কারণ হলো মহাভারতের পৌরাণিক উপাখ্যান।সেই কাহিনীতে বলা আছে পান্ডবদের পাঁচ ভাইদের মধ্যে প্রচন্ড সৌহার্দ্য ছিলো।তবে কোন একদিন বাকী চার ভাইয়ের সাথে ভীমের খুব ঝগড়া হয় ।এর জেরে ব্যাথিত ভীম পরের দিন না খেয়ে ছিল। এই না খেয়ে থাকার কারনে ভীমের খুব কষ্ট হয়।ঘটনাটা জানতে পেরে বাকী ভাইয়েরা জোর করে তাকে খাওয়ায়।তবে যেদিন ভীম অভুক্ত ছিল,সেই দিনটি ছিলো একাদশী।সেই থেকেই ভীম একাদশী হয়ে আসছে।আর মনে করা হয় এই একাদশী পালন করলে প্রচুর পুন্য হয় ব্রতীর।
হিন্দু শাস্ত্রের সেই বিধান মেনে এই দিন বাড়ির মঙ্গলের জন্য গঙ্গায় স্নান করে অনেক বাড়ির মহিলারা। পরে স্নান সেরে ব্রাহ্মণকে কিছু দান করে তাহলে পুন্য অর্জন হয়।
প্রতি বছর বারুইপুর সদাব্রত ঘাটে এই মেলা উপলক্ষে প্রচুর দোকান বসে। মাটির খেলনা থেকে শুরু করে জিলাপি, প্লাস্টিকের খেলনা, ফল, মনিহারি দোকান ও বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে এই মেলায়।
একই সাথেমঞ্চ বেঁধে শ্রীকৃষ্ণের গান হয়। ধর্ম কথা পাঠ হয় । সেই দেখে বাড়ির মহিলারা মুগ্ধ হয়। সন্ধ্যার সময় ওই সদাব্রত ঘাটে গঙ্গা আরতী হয়। তা দেখতে প্রচুর লোকের সমাগম হয়।