
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের আয়োজনে কাঁথি শহরের দলীয় কার্যালয়ে বরেণ্য স্বাধীনতা সংগ্রামী, স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী, ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের মূর্ত প্রতীক মৌলানা আবুল কালাম আজাদের প্রয়াণ দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়।
মৌলানা আবুল কালাম আজাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো অর্ডিনেটার মামুদ হোসেন, জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সেক আনোয়ার উদ্দিন, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রত্নদীপ মান্না, কাঁথি শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সুরজিৎ নায়ক, সহঃ সভাপতি সেক সাত্তার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো অরডিনেটার মামুদ হোসেন বলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ মহান দেশপ্রেমিক, দেশের আধুনিক শিক্ষা পরিকাঠামো গড়ে তোলার কারিগর ও ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিক ভারতবর্ষের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন।
প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন আরও বলেন ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তি দেশের সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গনতান্ত্রিক আদর্শকে খানখান করে ইতিহাসের চাকাকে পিছনের দিকে ঘুরিয়ে দিতে চায়।দেশের সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিভেদ, বিদ্বেষ ও ঘৃণার রাজনীতিকে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান মামুদ হোসেন।
***************************************
আবুল কালাম মহিউদ্দিন আহমেদ (১১ নভেম্বর ১৮৮৮ – ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী। তিনি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ (তার ছদ্মনাম ছিল আজাদ) নামেই অধিক পরিচিত। মৌলানা আজাদ ইসলামি ধর্মশাস্ত্রে সুপণ্ডিত ছিলেন। তরুণ বয়সে তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন।
তিনি হিন্দু–মুসলিম সম্প্রীতির প্রবক্তা ছিলেন এবং দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের বিরোধিতা করেছিলেন। এমনকি নবগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রে সামরিক শাসন ও পাকিস্তান ভাগ সম্পর্কেও তিনি ভবিষ্যবাণী করে গিয়েছিলেন।
১৯৯২ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্নে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়।স্বাধীন ভারতে শিক্ষাবিস্তারে তার উজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণে রেখে তার জন্মদিনটি সারা দেশে “জাতীয় শিক্ষা দিবস” হিসেবে পালন করা হয়।