
দলের কর্মসূচীতে যোগ দিতে এসে কাঁথিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উড়িষ্যার বিজেপি নেতা প্রতাপ চন্দ্র ষড়ঙ্গী টাকা বিলি করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুললো তৃনমূল। বৃহস্পতিবার
কাঁথি শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের আহ্বানে কাঁথি পৌরসভা এলাকাজুড়ে “পাড়ায় চলো” জনসংযোগ কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হল। দারুয়া এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের বড় দারুয়া বস্তী এলাকায় অনুষ্ঠিত সভা থেকে এই অভিযোগ তুললো রাজ্যের শাসক দল।
পাড়ায় চলো জনসংযোগ কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো অর্ডিনেটার তথা কাঁথি পৌরসভার প্রশাসকমন্ডলী র সদস্য মামুদ হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা পৌর প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য রত্নদীপ মান্না, কাঁথি শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সুরজিৎ নায়ক, সেক সাত্তার,জুবায়ের বিন রব,সেক সুরজ আল আমন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।পরে অন্যান্য ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি পাড়া বৈঠক আয়োজিত হয়।
পাড়া বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন বিগত কয়েক দশক ধরে যাঁরা কাঁথি পৌরসভা চালিয়েছেন তাঁরা পৌরসভার বস্তী এলাকা সমূহ কে উন্নয়নের প্রশ্নে উপেক্ষা ও বঞ্চনার শিকারে পরিণত করেছেন। বস্তী এলাকায় হাজার হাজার মানুষ বংশপরম্পরায় খাস জায়গায় বাস করলেও জমি বন্দোবস্ত দেওয়া বা হোল্ডিং প্রদানের কোন উদ্যোগই নেননি। সবথেকে বেশী আমফান অনুদান প্রদান নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বিগত পৌরবোর্ডের সময়কালে। অথচ সেই সব নব্য বিজেপির নেতারাই দুর্নীতি নিয়ে গলা ফাটাচ্ছেন।
বলেন অধুনা বিজেপির নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের পাঁচ পয়সার নেতা বলে তাচ্ছিল্য করছেন।অথচ সেই সব নেতাদের নিয়ে ঘর করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগী অধুনা বিজেপি নেতারা।তাঁদের সাথে থাকলে বড় নেতা অথচ সঙ্গে না থাকলে পাঁচ পয়সার নেতা। এই দম্ভ ও দ্বিচারিতার জবাব কাঁথির মানুষ নির্বাচনে দেবেন বলে অভিমত প্রকাশ করেন মামুদ হোসেন।
অভিযোগ করেন বুধবার বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতাপ চন্দ্র ষড়ঙ্গী পরিবর্তন যাত্রায় প্রকাশ্যে সমর্থকদের অর্থ বিলি করছেন।দেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে ও আপমর জনগণকে দুর্দশাগ্রস্ত করে দিয়েছে বিজেপি। পায়ের তলার মাটি হারিয়ে বিজেপি পেশী ও অর্থ শক্তির আস্ফালন করছে। তাই দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিতে এসে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী,নেতা-নেত্রীদের প্রকাশ্যে সাধারন মানুষের মধ্যে টাকা বিলি করে মানুষের উপর প্রভাব ফেলার প্রচেষ্টা চালাতে হচ্ছে।
বিজেপি অবশ্য অভিযোগ উড়িয়েছে।একই সাথে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন তৃনমুলের নেতারা কাটমানি খোর।ওরা সবেতে কাটমানি দেখতে পায় ।ওদের তোলা কোন অভিযোগের বিষয়ে কোন উত্তর দেবনা ।কোন ভদ্র লোক প্রশ্ন করলে নিশ্চয়ই বলবো।