
রবিবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেছেদা কালচারাল এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত হলো নবম বর্ষের উচ্চাঙ্গ সংগীতের অনুষ্ঠান।কালচারাল এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে মেছেদার বিদ্যাসাগর স্মৃতি ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রবিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলে এই উচ্চাঙ্গ সংগীতের আসর। এদিন প্রখ্যাত সেতার বাদক সুজয় বসুকে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয় মেছেদা কালচারাল এ্যাসোসিয়েশনের তরফে।এদিনে নাচ,গান,সেতার,তবলা লহরার সহ একাধিক সুর মুর্ছনায় ভরে ওঠে সভাকক্ষ।
এদিন বহু সঙ্গীতপ্রেমী মানুষজনের উপস্থিতি চোখে৷ পড়ার মতো ছিলো।
এই অনুষ্ঠানে অন্যান্য শিল্পীদের পাশাপাশি সেতার বাজিয়ে ছোট্ট শিশু শিল্পী অঞ্জনাভ লাল সকলের প্রশংসা কুড়ায়।অনুষ্ঠানে এছাড়াও অন্যান্য শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন সোমা লাল,স্বপন ভুঁইয়া, তপন সামন্ত,ইমন সামন্ত সহ বিশিষ্টজনেরা।
***************************************
বর্তমানে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রধান দুটি ধারা বিদ্যমান:
- হিন্দুস্থানী সঙ্গীত বা হিন্দুস্থানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত এবং
- কর্ণাটী সঙ্গীত ।
হিন্দুস্থানী ও কর্ণাটী সঙ্গীতের কিছু কাঠমোগত বৈশিষ্ট ও রীতি রয়েছে। উভয় ধরনের সঙ্গীতেই রয়েছে দুটি মৌলিক উপাদান যা তাল ও রাগ হিসেবে পরিচিত।
রাগ সাতটি সুর সা-রে-গা-মা-পা-ধা-নি এবং ২২ টি শ্রুতির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পরিবেশনা হয় মূলতঃ দু’ভাবে, কন্ঠে ও বাদ্যযন্ত্রে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এককভাবে পরিবেশনকারী যন্ত্রসমূহ হচ্ছে সরোদ, সেতার, সুরবাহার, বীণা, সারেঙ্গী, বাঁশী, বেহালা, সন্তুর, তবলা, মৃদঙ্গ। এছাড়াও সহায়ক যন্ত্রসমূহ হচ্ছে তানপুরা, এস্রাজ, পাখোয়াজ ইত্যাদি।
হিন্দুস্তানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের প্রচলন মূলতঃ উত্তর ভারতে এবং কর্ণাটকীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত মূলতঃ দক্ষিণ ভারতে দেখা যায়।