
রবিবার কুলতলির সভা থেকে অভিষেক ব্যানার্জীর আক্রমনের জবাব তমলুকে দাঁড়িয়ে দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।একই সাথে নেতাজীজ ১২৫তম জন্ম দিবসে ভিক্টোরিয়া মোমেরিয়ালে জয় শ্রীরাম নিয়ে একসাথে মুখ্যমন্ত্রী ও তার ভাইপোকে খোঁচা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
দলীয় কর্মীদের উপরে তৃনমূলের অত্যাচারের ঘটনার প্রতিবাদে এবং এই কান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক হাসপাতাল মোড় থেকে মানিকতলা পর্যন্ত পদযাত্রা ও জেলা পুলিশের অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।তাঁর সাথে দলের জেলা নেতৃত্বরাও উপস্থিত ছিলেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগের জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ছোট বয়স থেকেই চিটিংবাজিতে হাত পাকিয়েছে ভাইপো। এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমবিএ ডিগ্রির কথা উল্লেখ করেন। এব্যাপারে বাম নেতা গৌতম দেবের কথাও টানেন তিনি। বলেন, পিসির মতো ভাইপো। পিসি একটা সময়ে নামের আগে ডক্টরেট লিখতেন। কিন্তু পরে সূত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আর লেখেন না। তেমনই ভাইপোও। একটা সময়ে এমবি লিখলেও এখন তা লেখেন না।প্রশ্ন করেছেন , আমি ঘুষখোরই যখন ২ ডিসেম্বর হাতেপায়ে ধরেছিলি কেন?
তাঁর দাবি,নারদায় কেডি সিংকে নিয়োগ করেছিলেন অভিষেকই। সুদীপ্ত সেনের চিঠির পিছনেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে বলেই অভিযোগ শুভেন্দুর।বলেন, তিনি চিকিৎসা করান তমলুক জেলা হাসপাতালে, আর বড় কিছু হলে অ্যাপোলোতে। কিন্তু ভাইপো ছুটে যান সিঙ্গাপুরে।
এর পরেই মমতা-অভিষেককে এক যোগে আক্রমন করে বলেন এক জন জয় শ্রীরাম শুনলে ক্ষেপে যাচ্ছে আরেকজন কেঁপে যাচ্ছে তোলাবাজ ভাইপো শুনে !
মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন পত্রাবলী বলে একটি বই আছে বইটির পৃষ্ঠা ১৬ থেকে ১৭ পর্যন্ত পড়ে নেবেন।
কয়লা চুরি, গরু পাচারের টাকার এব্যাপারে তিনি থাইল্যান্ডের একটি ব্যাঙ্কের একটি শাখার কথা উল্লেখ করেন। শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, সেই অ্যাকাউন্টে একটা সময় মাসে মাসে ৩৬ লক্ষ টাকা করে জমা করা হয়েছে। এব্যাপারে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সভা করে বিস্তারিত জানাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
পাশাপাশি এদিনে সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, “আমার বাড়িতেও পদ্ম ফুটতে শুরু করেছে। রামনবমীর আগে সব পদ্ম ফুটে যাবে।”