
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ফের উতপ্ত হয়ে উঠলো।এই থানা এলাকার নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মহম্মদপুর ৫২ নং বুথ এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মীদের দোকানে হামলা, মারধর ও বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
আরো অভিযোগ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই পরিকল্পনা করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরী করার চক্রান্ত করেছে।
বিজেপির অভিযোগ গত ১৮ তারিখ তৃনমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীর সভার কয়েক দিন আগে থেকে এই ভাবে মাঝে মধ্যেই শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালাছে।রবিবার রাতেও একই ঘটনা ঘটেছে।এই হামলার জেরে আহত হয়েছে ২ জন সক্রিয় বিজেপি কর্মী। অভিযোগ আজ আচমকা বিজেপি কর্মীদের দোকান ও বাড়িতে হামলা , ভাঙচুর চালানো হয়।হামলাকারীরা কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মারধর করে।
এই হামলায় গুরুত্বর আহত হয়েছে সক্রিয় ২ জন বিজেপি কর্মী। আহতদের প্রথমে রেয়াপাড়া গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ও পরে একজন কে তমলুকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
তৃনমূলের হামলায় আহত পলাশ ভৌমিক নামের এক বিজেপি কর্মী জানিয়েছেন তিনি দোকানে বসেছিলেন।সেই সময় আচমকা তৃনমূল আশ্রিত ১০-১২ জন দুষ্কৃতী হামলা চালায়।তাকে মারধরের পাশাপাশি দোকানে ভাঙ্গচুর চালায়।মহম্মদপুরের ৫৪ নং বুথের বাসিন্দা রঞ্জিতা দাস জানিয়েছেন রাত্রি ৯-১০টা নাগাদ এই হামলা হয়েছে।বলেন সেই সময় বাড়িতে কোন পুরুষ ছিলোনা।দুষ্কৃতীরা দুই দফায় হামলা চালায়।অভিযোগ করেছেন বাড়িতে ঢুকে হামলাকারীরা ব্যাপক ভাঙ্গচুর করেছে।জানিয়েছেন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
বিজেপির নন্দীগ্রাম – ১ পূর্ব মন্ডলের সাধারন সম্পাদক ভূপাল চন্দ্র দাস জানিয়েছেন রবিবার রাতে তার বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।তৃনমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরীর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।তৃনমূল অবশ্য হামলার দায় অস্বীকার করেছে।উল্টে একে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল বলে দাবি করেছেন তাঁরা।