
কাঁথি পৌরসভার এক স্হায়ী সাফাই কর্মী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ছবিতে কালি লাগানোর সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল! অভিযুক্ত এই কর্মীর নাম রোজি বাংগারী।বুধবার সকালে রাস্তা সাফাই করার সময় ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
জানা গেছে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ সংলগ্ন ধনদীঘিতে তৃনমূলের দলীয় কার্যালয়ের বাহিরে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্সে কালি লাগানোর সময় এলাকার মানুষজন হাতে নাতে ধরে ফেলে। এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত সাফাই কর্মী তাঁর দোষ স্বীকার করেন। তবে কার প্ররোচনায় এই ঘটনা ঘটেছে সে কথা খোলসা করেন নি।পরে এই ঘটনাটা জানার পরে কাঁথি পৌরসভার খবর পৌঁছালে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কাঁথি পৌরসভার প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য মামুদ হোসেন জানান তদন্তে সত্য উদ্ধাঘটিত হবে।জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো অর্ডিনেটার তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন অভিযোগ করেন ঘটনার পেছনে পৌরসভার স্যানিটারি দফতরের এক আধিকারিকের হাত থাকতে পারে ।
বলেন পৌরসভার স্যানিটারী দফতরের সেই আধিকারিক পৌরসভার কর্মী হওয়ার পাশাপাশি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সহকারী হিসাবে কাজ করেন।তিনি জঞ্জাল বিভাগের শত শত স্হায়ী ও অস্হায়ী কর্মীকে নিয়ন্ত্রণ করেন বলেও মামুদ বাবু অভিযোগ করেন। তিনি বিজেপির ফ্ল্যাগ,ফেস্টুন লাগানোর কাজ সহ সাফাই কর্মীদের বিজেপির হয়ে মিটিং, মিছিল ও পতাকা লাগাতে বাধ্য করছেন।
তাই এই আধিকারিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য পৌর প্রশাসকমন্ডলীর জরুরী বৈঠক ডাকার জন্য পৌর প্রশাসকমন্ডলী চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মাইতি কে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছেন পৌর প্রশাসকমন্ডলী র সদস্য মামুদ হোসেন।ঘটনাটিকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা চরমে।