
মঙ্গলবার গভীর রাত অবধি রাজ্যের শাসক দল ও প্রধান বিরোধী দলের কর্মীদের মধ্যে বিবাদ-সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে। সেই বিবাদের জেরে কাঁথি থানাতে একে অপরের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লো। দুই দলই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে থানায় ধস্তাধস্তি শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ।
কাঁথি থানার আই সি কৃষ্ণেন্দু দত্ত এলাকায় বিজেপি আশ্রীত বদমাশদের প্রশয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হল তৃনমূল নেতৃত্ব।অপরদিকে বিজেপি কর্মীদের দাবি পুলিশ শাসক দলের কথা শুনে চলছে,তাই বিরোধী দলের সর্মথকরা বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় বসে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখনই কাঁথি শহরে তৃণমূল নেতৃত্ব মিছিল করে থানা ঘেরাও করেন। তাদের দাবি বিজেপির দালালি করছেন কাঁথি থানা আইসি। অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। কাঁথি রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
বিজেপি অভিযোগ, কাঁথি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় সরস্বতী পূজা উপলক্ষে লাগানো ফেস্টুন ও ব্যানার ছিঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এনিয়ে অরাজনৈতিক ভাবে কাঁথি থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন বিজেপি নেতৃত্বরা। তবে আগে প্রথমে কাঁথি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন কাঁথি সংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ভাই সৌমেন্দু অধিকারী, অসীম মিশ্র সহ বিজেপি নেতৃত্বরা।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন ” তৃণমূল এখন জেহাদিদের নিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আঘাত দিচ্ছে। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছেন। পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।
তৃণমূলের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী হেঁড়িয়াতে জনসভাতে যাওয়ার সময় তৃনমূল কর্মী সমর্থকেরা খেজুরী যাচ্ছিওএন দলীয় সভায় যোগ দিতে। তখনই কিছু বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতিকারীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিঁড়ে দেয় এবং দলীয় পতাকা ফেলে দেয়। প্রতিবাদ করলে তৃনমূল কর্মীদের মারধর করে ।এনিয়ে পুলিশকে জানালে পুলিশ কোন প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়নি বরং বিজেপি কর্মীদের পুরোটাই সহযোগিতা করে কাঁথি থানার আইসি।
তৃণমূলের যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন ” কাঁথি থানার আইসি বিজেপির হয়ে দালালি করছে। শুভেন্দু অধিকারীর কাছ থেকে মোটা টাকার নিয়েছে। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। পুলিশ বিজেপি কর্মীদের হয়ে দালালি করছে।শুভেন্দু অধিকারী কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে তৃনমূল কর্মীদের হেনস্থা করছে। বিজেপি গুণ্ডারাজ সহযোগিতা করছে কাঁথি থানার পুলিশ।কয়েক ঘন্টা ধরে চলে এই বিক্ষোভ।
পরে পুলিশ দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।সেই সাথে তৃনমূল নেতারা হুমকী দিয়েছেন পুলিশ আশ্বাস পালন না করলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে