
নন্দীগ্রামে পা রেখেই মমতা ব্যানার্জী বুঝিয়েছেন ১৩ বছর আগের নন্দীগ্রামে সেই আন্দোলনের স্মৃতি এখনও তাঁর হৃদয়ে অমলিন।আর সেই কথা বুঝিয়ে দিলেন তিনি।নন্দীগ্রাম ভূমি আন্দোলনের ১০ জন নিখোঁজ পরিবারের হাতে ৪ লক্ষ টাকা করে সরকারী অনুদান প্রদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া প্রতিটি শহীদ ও নিখোঁজ পরিবারকে মাসে ১০০০ টাকা সরকারী পেনশন প্রদানের ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ , ১৩ বছর আগে আন্দোলনের সময় ৩১ জন শহিদদের পাশাপাশি ১০ জন আন্দোলনকারী নিখোঁজও ছিলেন। তাঁদের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এদিন তেখালির মেগা র্যালির আগে নন্দীগ্রামে একটি সরকারি প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রশাসনিক সভা থেকেই নিখোঁজ পরিবার গুলির হাতে আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্মরণ করেন আন্দোলনের শহিদদেরও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন নন্দীগ্রাম তাঁর কাছে সৌভাগ্যের প্রতীক।আর তা যে মিথ্যা নয়,শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পর প্রথমবার নন্দীগ্রামে পা রেখে উপচে পড়া জনজোয়ার দেখিয়ে তা প্রমান করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভামঞ্চে বক্তৃতা শুরু করেই বাম আমলের সময়কার রক্তাক্ত আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করান মুখ্যমন্ত্রী।
স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, “আমি কারও কাছে জ্ঞান নেব না, নন্দীগ্রাম আন্দোলন কে করেছে।” সেই সাথে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মূল নেত্রী যে তিনিই, শহিদ পরিবারগুলিকে কাছে টেনে এদিন আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মমতা।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৪৩ জন শহীদ পরিবার কে ৫০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। নন্দীগ্রাম সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সার্বিক উন্নয়নের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী নিজের কাঁধে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।নন্দীগ্রাম – হলদিয়া সেতু,সোনাচূড়ায় আই টি আই স্হাপন ও জেলিংহাম প্রজেক্টের পুনর্গঠন সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণের কথা ঘোষণা করেন।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ডঃ সৌমেন মহাপাত্র, কোঅরডিনেটর মামুদ হোসেন, জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি প্রমুখ কাঁথিতে মেডিক্যাল কলেজ, দেশপ্রাণ বিশ্ববিদ্যালয়, মহিলা কলেজ, আইনকলেজ, নার্সিং কলেজ, ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, অডিটোরিয়াম ইত্যাদি স্হাপনের দাবীপত্র মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।দাবীসমূহ বিবেচনার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন বলে জানান মামুদ হোসেন।