
নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে কার্যত মাষ্টারস্ট্রোক মমতার! নন্দীগ্রাম থেকে বিধানসভা ভোটে লড়বেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এমনটাই জানালেন তিনি।
নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, সারা দেশে ভোটের রাজনীতি বোঝার ক্ষেত্রে তাঁর মানে মমতার তুলনা বেশি নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তিনি একমেবাদ্বিতীয়ম! সোমবার তা আরও একবার প্রমাণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামের সভা থেকে ঘোষণার মাধ্যমে কার্যত নিজের জেলাতেই শুভেন্দুকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেন , এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ।আর সেটা বুঝেই তাঁর মন্তব্যে সাথে সাথে কার্যত দলের পক্ষ থেকে শিলমোহর দিলেন সুব্রত বক্সি।
গত ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে নিজের লাকি কেন্দ্র নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীকে তৃনমূল এর প্রার্থী করেছিলেন তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে বিজেপি দলে যোগদান করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূলের হয়ে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেই। তবে ভবানীপুরকেও যে তিনি অবহেলা করছেন না তাও স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন। মমতা তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “নন্দীগ্রাম আমার লাকি জায়গা। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে আমি নন্দীগ্রাম থেকেই নির্বাচন ঘোষণা করেছিলাম। আমি আজকেও এসেছি নন্দীগ্রামে তাই বলে যাই আগামী একুশে নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূল জিতবে। নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা সিটে তৃণমূল- কংগ্রেস জয়লাভ করবে। নন্দীগ্রাম জেনারেল সিট। এই সিটে আমি যদি দাঁড়ায় কেমন হয়? আমি হয়তো ইলেকশনের সময় বেশি টাইম দিতে পারব না। কারণ আমাকে ইলেকশনের সময় ২৯৪টি আসনে লড়তে হবে। তারপরে যা কাজ সবটা আমি করে দেব। ভবানীপুরকে আমি অবহেলা করছি না। ভবানীপুরেও আমি ভালো প্রার্থী দেব, ওটা আমার ভালোবাসার জায়গা। ভবানীপুর আমার বড় বোন এবং নন্দীগ্রাম আমার ছোট বোন। আমি দুটো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পারলে এবার দাঁড়াবো। তবে নন্দীগ্রামে আমি দাঁড়াবোই আপনাদের বলে দিলাম। আমার বিবেক আমাকে জাগ্রত করে বলল ওরে নন্দীগ্রাম থেকেই এনাউন্সটা কর।”
এদিনের সভায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুব্রত বক্সী, ইন্দ্রনীল সেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃনমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, জেলার যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি সহ জেলার বিধায়ক ও ব্লক নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। তবে এদিনের সভায় তৃণমূলের জেলার দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারি অনুপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘদিন পর আজ সোমবার নন্দীগ্রামে পা রাখেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, নন্দীগ্রামের সঙ্গে তাঁর আত্মার টান। তাই নিজের উত্থানস্থল থেকেই একুশের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে চান তিনি।