
‘আমি বেঁচে থাকতে বিজেপিকে বাংলা বেচতে দেব না। আগে তো তোমরা সু্প্রকাশ গিরিকেও হারাও। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখবে।’ সোমবার নন্দীগ্রামের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তীব্র আক্রমণ করে একথাই বললেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন কর্মসূচীতে বলছেন বাংলাকে নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দেওয়ার কথা।নন্দীগ্রামের সভায় শুধু শুভেন্দু অধিকারী নয়,বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন “তোমরা দেশের ক্ষমতায় বসতে পারো। বিশ্বের নেতা হতে পার। কিন্তু, এই বাংলায় জিততে পারবে না।’
নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে অধিকারীদের নাম না নিয়ে ছত্রে ছত্রে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নন্দীগ্রাম থেকেই ২০২১-এ জেতার পালা শুরু হল বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘নন্দীগ্রামে তৃণমূলের নতুন জন্ম হল।’’ যার অর্থ দাঁড়ায় তৃনমূলের মত এবার নন্দীগ্রামকেও অধিকারীহীন করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল !
বলেছেন, ‘‘বিজেপি বলছে, টিএমসি করলে জেলে। নয়তো ঘরে। অর্থাৎ, বিজেপি করলে সব কালো সাদা হয়ে যাবে। ওয়াশিং পাউডার বিজেপি! তা যারা গিয়েছো, তারা যাও। তোমরা প্রধানমন্ত্রী হও। তোমরা রাষ্ট্রপতি হও। “
নন্দীগ্রামের তেখালির বিশাল জনসভা থেকে তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাজনীতিতে একদল ভোগী। একদল ত্যাগী। যারা ত্যাগ করতে জানে, তারা মায়ের কোল, আম্মার কোল ছাড়ে না। হাজার মার মারলেও তারা প্রতিবাদ করবে।’’ তার পরেই তাঁর বক্তব্য, ‘‘আর এক দল আছে। যারা লোভী। যাদের প্রচুর সম্পত্তি। প্রচুর টাকা। সেই টাকাও আছে ঢাকা। সেই টাকা যাতে বাইরে বেরিয়ে না পড়ে, সে জন্যই সব কারবার।’’
অধিকারীদের কটাক্ষ করে বলেছেন তৃণমূলের জন্মদিনে তো তোমরা ছিলে না! তখন তো প্রার্থী হয়েছিল অখিল গিরি। দ্বিতীয় হয়েছিল। প্রথম হয়েছিল সিপিএম।’’ প্রসঙ্গত অধিকারী পরিবার যাঁরা তৃণমূলের জন্মের অনেক পরে কংগ্রেস ছেড়ে তাঁর দলে যোগ দিয়েছিলেন। কংগ্রেস ছেড়ে মমতা যখন তৃণমূল গঠন করেছিলেন, তখন অধিকারীরা সকলেই ছিলেন কংগ্রেস। তাঁরা মমতার সঙ্গে দল ছাড়েননি।