
গত আড়াই দশকের মধ্যে এই প্রথম বার শুভেন্দু অধিকারীকে ছাড়া নন্দীগ্রামের বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। ইতিমধ্যে তারই প্রস্তুতি তুঙ্গে।তবে শুধু শুভেন্দু নয়,অধিকারী পরিবারের কোন সদস্যই সোমবারের সভায় হাজির থাকছেনা বলে জানা গেছে।অধিকারী পরিবারের চার সদস্য জন প্রতিনিধি।এর মধ্যে শুভেন্দু ও সৌমেন্দ্যু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
রবিবার দিনভর মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল পরিদর্শন করেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।তৃনমূলের রাজ্য ও জেলা কিংবা স্থানীয় স্তরের নেতৃত্বরাও দফায় দফায় প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখেছেন।
সোমবার বেলা ১টা নাগাদ নন্দীগ্রামের তেখালিতে হেলিকপ্টারে করে উপস্থিত হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে সেখানে একটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড ময়দান তৈরি করা হয়েছে। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জনসভায় মোট তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে মূল মঞ্চ বক্তব্য রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপর দুটি মঞ্চের একটিতে থাকবেন নন্দীগ্রামের শহীদ পরিবারের সদস্যরা এবং অপরটিতে দলীয় নেতৃত্ব থাকবেন। গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ জমায়েতের টার্গেট রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বদের।
একুশের নির্বাচনের আগে শুভেন্দুকে ছাড়া নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীদের উজ্জীবিত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের সভা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “নেত্রীর জনসভায় সব রকম প্রস্তুতি ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। মূল তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। যেখান থেকে একটি মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখবেন নেত্রী। তিন লক্ষ মানুষের জমায়াতের টার্গেট রয়েছে এই জনসভায়।”
গত ডিসেম্বর মাসের ১৯ তারিখ মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগদান করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। গত ২০১৫ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের এক জনসভা থেকে নন্দীগ্রাম বিধানসভস কেন্দ্রে তৃনমূলের টিকিটে শুভেন্দুকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন মমতা। নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মন্ত্রীও হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই শুভেন্দু একসময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের আধিপত্য বিস্তারে বৃহৎ ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে চলে যাওয়ায় এবার নিজেদের শক্তি অটুট রাখতে এবার খোদ নন্দীগ্রামে জনসভা করতে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, সোমবারের এই জনসভায় থাকছেন না অধিকারী পরিবারের বাকি দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারি। অধিকারীদের ছাড়া তিন লক্ষ মানুষের জমায়েতের টার্গেট নিয়েছে অখিল গিরি গোষ্ঠীর তৃণমূল নেতৃত্বরা। রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমার শরীর অসুস্থ। শারীরিক অসুস্থতার খবর নেত্রীও জানেন। তাই থাকতে পারছি না। আগের থেকে সুস্থ রয়েছি, আমি ১৩০বছর বাঁচবো।”একই সাথে কটাক্ষ করেছেন আমরা তো লস্ট কেস ।