
প্রদীপ কুমার সিংহ
সাগর সঙ্গমে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান বৃহস্পতিবার খুব সকালে শুরু হয়েছে । সকাল ৬:০২ মিনিটে এই পুণ্যস্নান শুরু হলেও চলবে শুক্রবার সকাল ৬: ০২মিনিট পর্যন্ত । এবারের পুণ্যস্নানে অন্য বছরের মতো রং পাওয়া না গেলেও এই পরিস্থিতিতে বহু তীর্থযাত্রী সমুদ্রে নেমে অবগাহন করেছেন ।
কেউ কেউ গঙ্গার পবিত্র জল মাথায় ছিটিয়ে পুণ্যস্নানের তৃপ্তি নিয়েছেন পরে, গঙ্গা মায়ের চরণে পুজো দিয়েছেন, গরুর লেজ ধরে আগামী বৈতরণী পার এর আশা রেখেছেন । তারপর তাঁরা কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দিয়ে নিজেদের নিজের পরিবারের এবং দেশের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেছেন। পুজো অর্চনার শেষে তারা নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন ।
করোনা অতি মারির জন্য এবছর রাজ্য সরকার বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে এবারের মেলা পরিচালনা করছেন । বিভিন্ন জায়গায় স্যানিটাইজার গেট ছাড়াও সাগর বন্ধুরা তীর্থযাত্রীদের হাতে স্যানিটাইজার দিচ্ছেন ।মুখে মাস্ক না থাকলে তাদের মাস্ক মুখে পরিয়ে দিচ্ছেন গঙ্গাসাগর মেলায় এবারের স্লোগান নো মাস্ক নো এন্ট্রি । গঙ্গাসাগর মেলা পরিবেশ বান্ধব ও দূষণমুক্ত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন । নজরদারি চলেছে ১০০০টি সিসি কামেরার মাধ্যমে, পাশাপাশি ২৫ টি ড্রোন এই কাজে সাহায্য করছে ।
মেলা ক্ষেত্র কয়েক মিনিট পর পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কর্মীরা নিরলস কাজ করছেন । নজরদারিতে রয়েছেন বহু পুলিশকর্মী ।
পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলা নন্দ সরস্বতী সাগর সঙ্গমে পুণ্য স্নান করেছেন ।রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা বিধিনিষেধ মেনে ই স্নান করেছেন ঘরে বসে ।
কপিলমুনি মন্দির বর্ষিয়ান পুরোহিত মহন্ত জ্ঞানদাস এবারের মেলায় রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় খুশি ।
বিশেষ করে করোনা অতি মারির জন্য যেভাবে সরকার প্রতিনিয়ত নজরদারি রেখে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের পাশাপাশি মেলা ক্ষেত্রের পরিচ্ছন্নতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তা অভূতপূর্ব।
সন্ধায় পঞ্চায়েয় মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি প্রেস কনফারেন্স করেছেন। তিনি বলেন আজ দুপুর তিনটে পর্যন্ত ১৫ লক্ষ ৫০০০ মানুষ গঙ্গা সাগরে স্নান করেছে।যেহেতু আগামীকাল সকাল পর্যন্ত সময় আছে স্নান করবার তাই বাড়তে পারে। ই-স্নান করেছে দু লক্ষের বেশি মানুষ।