
“এতোদিন পরে মনে পড়লো। সেই কবে ২০১৫ সালে ২০ ডিসেম্বর এসেছিলেন। এখন চাপে পড়ে নির্বাচনের সময় আবার আসছেন। আসুক আমরাও প্রস্তুত পালটা সভা ১৯ তারিখ খেজুরিতে করতে। সেখানে আমি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সহ অন্যান্যরা থাকবেন। সেখানেই এক লক্ষের বেশি লোক করবো। আর যা যা মিথ্যা বলবেন তার জবাব দেবো। উনি তো মিথ্যাশ্রী আর কুৎস্যাশ্রীর জনক।” বুধবার ভগবানপুরের এক সভা থেকে এই ভাষাতেই মিখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে তীব্র আক্রমন করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য আগামী ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে জনসভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা নিয়ে বুধবার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করেন।শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি এদিন সভা মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকার থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেন সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি।
ভগবানপুরে বিজেপিতে যোগদানের পর এই প্রথম সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি তার বক্তব্যে একাধিক ভাষায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন। শুভেন্দু বলেন, “শুধু হরিশ চ্যাটার্জি, হরিশ মুখার্জি সরকার চালাবে আমরা বাণের চলে ভেসে আসেছি। জেলার লোকেরা, উত্তরবঙ্গের লোকেরা, কোচবিহারে লোকেরা, মেদিনীপুরের লোকেরা, সুন্দরবনের লোকেরা, বনগার লোকেরা আমরা বানের জলে ভেসে এসেছি? এজিনিস আর হবে না। আমরা জিতবো। বিজেপির সরকার তৈরি হবে।”
শুভেন্দু তার বক্তব্যে আরও বলেন, “আগের ভূমিকায় দেখেছেন, আবার নতুন ভূমিকায় দেখতে পাবের আমাকে।” বুধবার ভগবানপুরের অর্জুন নগরের সভা মঞ্চ থেকে কর্মীদের চাঙ্গা করতে একথা বলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগাদানকারী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “মননীয়ার নির্দেশে হপ্তায় হপ্তায় হাটবারে পুলিশের ওসি বদল করছে। অনেক লড়াই আমরা করেছি, এসব নিয়ে ভয় পাবেন না। কতক্ষণ লাগে আপনাদের কাছে আসতে, আধঘন্টা! তাই তো বাড়ি থেকে। আক্রমন হলে অনুপবাবুকে বলবেন। আমি সাংগঠনিক সেল, সংগঠনকে মানি। সংগঠন নির্দেশ দেবে কর্মী হিসাবে পৌঁছাবো আর আগের ভূমিকার মতো কাজ করবো। ভয় পাবেন না কেউ।”
বামেদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন, “আর এখানকার পুরানো বামপন্থীদের বলবো ভেতরে ভেতরে সিপিএম করবেন না এবারের মতো, কারন ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় না এলে গ্রামপঞ্চায়েত কিংবা পুরসভায় নমিনেশন করতে পারবে না। ভারতীয় জনতা পার্টি না এলে নির্বাচনে লড়াই করতে পারবে না। তাই প্রথম আমাদের লক্ষ হবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে আগে হারানো। আর যদি তোমরা সবাই মিলে হটাতে পারো তাহলে আগামী ২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে সবাই নমিনেশন করবে, ভোট হবে। তাই সকলের একটাই লক্ষ্য হোক “জয় শ্রীরাম”।