
ইন্দ্রজিৎ আইচ
সম্প্রতি শ্রীনগর হাবড়া নাট্য মিলন গোষ্ঠী অশোকনগর শহীদ সদন রতন ঘোষ মঞ্চে আয়োজন করেছিলো দুদিন ব্যাপী নাট্য উৎসবের।উৎসব উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আকাদেমির সদস্য সচিব হৈমন্তী চট্টপাধ্যায়।
উদ্বোধোনী নৃত্য পরিবেশন করে হাবড়া নৃত্য প্রভা ডান্স আকাডেমি।দুদিনের এই নাট্য উৎসবে ছয়টি ভিন্ন স্বাদের নাটক পরিবেশিত হয়।প্রথম দিনের প্রথম নাটক ছিল নৈহাটি গরিফা নাট্যায্নের নাটক “ইজ্জত”।যার পরিচালনায় ছিলেন দেবকুমার দাস।দ্বিতীয় নাটক পরিবেশন করে ডানলপ চোখ “বিদ্যাসাগরের মুখে কন্যাশ্রী”।
পরিচালনায় ছিলেন অরবিন্দ সিংহ।তৃতীয় নাটক পরিবেশন করে গোবরডাঙার খাটুরা চিত্তপট।নাটক “ক ব য় “,নির্দেশনায় প্রদীপ রায় চৌধুরী।
দ্বিতীয় দিন প্রথম আয়োজন ছিল এক মনোজ্ঞ নাট্য আলোচনাচক্রের। আলোচনার বিষয়-আধুনিক প্রযুক্তির সাথে লড়াই করে থিয়েটার চর্চা কি জয়ী হতে পড়ব?এই আলোচনায় বিভিন্ন বক্তার বক্তব্যে এক সুরে উঠে এলো একটি কথাই-থিয়েটার বেঁচে থাকবে তার আত্মশক্তির জোরে!এমন আশাব্যঞ্জক কথাই তো কাম্য।
এরপর পরিবেশিত এই দিনের তিনটি নাটক।প্রথম নাটক পরিবেশন করে সুনীলনগর ড্রামা সেন্টার (কোলকাতা)”মুখোশ”।নির্দেশনায় ছিলেন জয়ন্তদীপ চক্রবর্তী।দ্বিতীয় নাটক কাঁচরাপাড়া ফিনিক পরিবেশন করে তাদের “সেই আমি নেই আমি’র পরিবর্তে নাটক “দক্ষিণবর্ত শঙ্ক্ষ “।
পরিচালনায় ছিলেন কাবেরী মুখার্জি।এরপর উৎসবের শেষ নাটক পরিবেশন করে কোলকাতা প্রেক্ষাপট নাট্য দল ।পরিবেশিত হয় তাদের নাটক “অন্য্ উপেন “।নির্দেশনায় ছিলেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি।উৎসব শেষে শ্রীনগর হাবড়া নাট্য মিলন গোষ্ঠীর কর্ণধার দিলীপ ঘোষ জানান করোনা মহামারীর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শক সমাগম মনে এক আশার আলো জাগিয়েছে!
সমগ্র উৎসবের আর্থিক সহায়তা করেছে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক।