
যুগ পুরুষ স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৮তম জন্ম দিবসের আগের দিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ এবং চণ্ডীপুর ব্লক প্রশাসন ও চণ্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে সোমবার আয়োজিত হয় বিবেক চেতনা উৎসব। এ দিন চণ্ডীপুর ব্লকের ঈশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় হাইস্কুলে প্রাঙ্গণে বিবেক চেতনা
উৎসবের সূচনা করেন চণ্ডীপুর বিধানসভার বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন চণ্ডীপুর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ মন্ডল, চণ্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অপর্ণা ভট্টাচার্য, ঈশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুনিল মন্ডল, উপ-প্রধান সুনিল আড়ি, সমাজকর্মী স্নেহাংশু পন্ডিত সহ বিশিষ্টজনের। এ দিন বিবেক চেতনা উৎসব উপলক্ষে ঈশ্বরপুর হাইস্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয় ফুটবল প্রতিযোগিতা।
বর্তমান যুব সমাজকে স্বামী বিবেকানন্দের ভাবধারা ও আদর্শে অনুপ্রানিত হওয়ার আহ্বান জানান স্থানীয় এলাকার বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য।বক্তারা তাঁদের ভাষনে স্বামী বিবেকানন্দের জীবন দর্শন তুলে ধরেন।বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে আরো বেশী করে বিবেকানন্দের ভাব ধারায় আদর্শিত হওয়ার আহ্বান জানান।
স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার এক উচ্চবিত্ত হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটোবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি তিনি আকর্ষিত হতেন। তার গুরু রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সকল জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ; তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ ভারতীয় উপমহাদেশ ভালোভাবে ঘুরে দেখেন এবং ব্রিটিশ ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেন।
পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দের বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারত ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , ইংল্যান্ড ও ইউরোপে তিনি হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অসংখ্য সাধারণ ও ঘরোয়া বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং ক্লাস নিয়েছিলেন। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ, রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত, ভারতে বিবেকানন্দ, ভাববার কথা, পরিব্রাজক, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত, বীরবাণী (কবিতা-সংকলন), মদীয় আচার্যদেব ইত্যাদি।