
কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে অপসারণ নির্দেশিকা জারির পদ্ধতিতে আইনগত ত্রুটি রয়েছে, এই অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ অধিকারী পরিবারের কনিষ্ঠ পুত্র সৌমেন্দু অধিকারী। জরুরি ভিত্তিতে মামলাটির শুনানির আবেদনও করা হয়েছে৷ আগামী ৪ জানুয়ারি মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে হাইকোর্ট সূত্রে খবর৷
সৌম্যেন্দুকে প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় প্রকাশ্যেই তার বিরোধিতা করেছিলেন তমলুকের সাংসদ অপসারিত প্রশাসকের দাদা দিব্যেন্দু অধিকারী৷ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখবেন বলেও জানিয়েছিলেন৷
তার মধ্যেই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হলেন সৌম্যেন্দু৷শুধু দিব্যেন্দুই নন,অধিকারী পরিবারের অভিভাবক কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীও রাজ্যের পুর দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত মোটেই ভালভাবে নেননি। এমনকী শিশিরবাবু এবং দিব্যেন্দুবাবু এও জানিয়েছিলেন যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে, তাঁরাও পুরসভায় নিজেদের কাজে যাবেন না। সাম্প্রতিক কালে অধিকারী পরিবারের থেকে তৃণমূলের দূরত্ব ক্রমশই বাড়ছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা ঠোকায় তা এক অনতিক্রম্যতায় পৌঁছে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।মামলা যে হয়েছে, তা অধিকারী পরিবার সূত্রেই বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছিল।
মহম্মদ মসিরুদ্দিন নামে এক ব্য়ক্তির জনস্বার্থ মামলায় ইন্টারলোকিউটরি অ্যাপ্লিকেশন করে আদালতের কাছে জানান, ৩০ ডিসেম্বর কাঁথি পৌরসভায় পুর প্রশাসককে অপসারণ করে নতুন প্রশাসক বসানো হয়েছে।
পুর দফতরের এমন মনোভাবেই স্পষ্ট কাঁথি পুরসভায় নির্বাচন না করে রাজনৈতিক ভাবে অনুগতদের প্রশাসক পদে নিযুক্ত করা হবে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের হস্তক্ষেপের আবেদন করা হয়৷
বৃহস্পতিবার সকালেই বিচারপতি অমৃতা সিনহার কাছে আবেদন রাখেন সৌমেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। রাজ্য পুর দপ্তরের নির্দেশিকায় রাতারাতি প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সৌম্যেন্দু অধিকারীকে। এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলার অনুমতি চাওয়া হয় সৌম্যেন্দুর তরফে। সৌমেন্দু অধিকারীকে মামলার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৪ জানুয়ারি সৌম্যেন্দু অধিকারীর আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা।