
মঙ্গলবার বারাকপুর থেকে অধিকারী পরিবারেও পদ্মফুল ফোটানোর দাবি জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাঁথি পৌরসভার প্রশাসকের পদ হারিয়েছেন তাঁর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী।
এর ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই নতুন ইংরেজী বছরের প্রথম দিনে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিতে চলেছেন তিনি ।এই বিষয়ে সৌম্যেন্দু অধিকারী কিংবা বিজেপির তরফে কোন প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে গুঞ্জন ছটিয়েছে সারা কাঁথি জুড়েই।
১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় শুভেন্দু বিজেপির পতাকা তুলে নেওয়ার তিনদিন পর রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সাংসদ সৌগত রায়কে নিয়ে কাঁথি শহিরে মিছিল এবং ডরমেটরির মাঠে সভা করে তৃনমূল।তৃনমূলের সেই মিছিল বা সভায় দেখা যায়নি অধিকারী পরিবারের কাউকেই।দুই সাংসদ শিশির অধিকারী,দিব্যেন্দু অধিকারী কিংবা কাঁথির প্রশাসক সৌম্যেন্দুকে কেন এই কর্মসূচীতে দেখা গেলনা সেই নিয়ে তৃনমূল কিংবা অধিকারীদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।তবে তমলুকের তৃনমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন শুভেন্দু বাবু বিজেপিতে গেলেও তাঁরা তিনজনই তৃনমূলে আছেন।এর পাশাপাশি সৌম্যেন্দুকে কাঁথির প্রশাসক পদ থেকে অপসারনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ।
এর মধ্যেই সৌম্যেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের গুঞ্জন ছড়ালো।সেই গুঞ্জন আরো মাত্রা পেয়েছে বুধবার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতোকে দেখা গিয়েছে শান্তিকুঞ্জে।
ফিরহাদ হাকিম,সৌগত রায়দের নিয়ে যেখানে সভা করেছিলো তৃনমূল,সেই ডরমেটরি মাঠেই শুক্রবার সভা রয়েছে শুভেন্দুর। ওই সভামঞ্চেই নাকি গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন অধিকারী পরিবারের সদস্য সৌম্যেন্দু ।
এমনকী কাঁথি পৌরসভার ১৬ জন সদ্য বিদায়ী কাউন্সিলরও নাম লেখাতে পারেন গেরুয়া শিবিরে। যদিও এ বিষয়ে সৌমেন্দু অধিকারীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও মুখে কুলুপ এঁটেছে।