
ইংরেজী বছরের শেষ দিনে পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে উত্তেজনা ছড়ালো।দুই দশকের সম্পর্ক ছেদ করে রাজ্যের শাসক দল তৃনমূল ছেড়ে নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দানের পরেই পূর্ব মেদিনীপুরে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাচ্ছে।সেই সাথে হিংসা বাড়তেই আছে।
জেলার রামনগর, পটাশপুর, ভগবানপুর ও কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের কিছুটা অংশ সহ কাঁথি তিন ব্লকের ভাজাচাউলি অঞ্চল, কৌশল্যা ও কানাইদিঘী অঞ্চলের বেন্যাজী গ্রামে বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর নিজের রায়ত্ব সম্পত্তির উপর তৃণমূলের হার্মাদরা জব্বর দখল করে পার্টি অফিস তৈরী চেষ্টা করছে। সেই জামির মালিক বাধা দিতে আসায় দুষ্কৃতীরা মহিলাদের উপর বেধড়ক মারধর করে। সেই আহত মহিলারা ও বালক এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বছরের শেষ দিন সকাল থেকেই বোম বন্ধুকের শব্দ শুনেই দিন শুরু হয় এলাকাবাসীর। বেশ কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতী ও এলাকায় দেখা যায় বলেই দাবি গ্রামবাসীদের।
যদিও পুলিশের দাবি ভাজাচাউলি এলাকায় এই রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। যে খানে ঘটনা ঘটছে ওটা থানার সীমান্ত এলাকা। পটাশপুরের বরোজের অর্জুন নগর, এগরা, ও কাঁথির সীমান্ত এলাকায় ঘটছে বলেই জানা যাচ্ছে।
এই বিষয়ে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, উত্তর কাঁথির ভাজাচাউলি,পটাশপুরের বরোজ, অর্জুন নগর, আড়গোয়াল সহ এগরার বাথুয়ারীতে তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের হামলা চলছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। যার জেরে কিছু বিজেপি কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই অভিযোগ সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করেছেন তৃনমূলের রাজ্য যুব সহ সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি । তাঁর উল্টে দাবি বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফলেই এই কাজ। আমাদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে ওরা। সুপ্রকাশ গিরির দাবি শুভেন্দু বাবু ভোটের আগে বিজেপিতে নিজের সহযোগীদের নিয়ে যুক্ত হয়েছেন।এর জেরে পুরানো বিজেপি কর্মীরা এক ঘরে হয়ে পড়েছে।তাই নব্য ও পুরানো বিজেপি কর্মীরা লড়াই করছে।তার দায়ে পরিকল্পিত ভাবে চাপিয়ে তৃনমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে