
নন্দীগ্রামের শহীদ জননী ফিরোজা বিবির ঘোষনা ‘এক সন্তানকে হারিয়ে হাজার সন্তান পেয়েছি। একজনের বিরুদ্ধে লড়তে হলে লড়ব।আমি দিদির সঙ্গেই আছি।’
গত ১৯ ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরে সরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
দলত্যাগের পর থেকেই পুত্রসম শুভেন্দুর সঙ্গে আর কথা হয়নি তাঁর।অভিমানে ত্যাগ করেছেন সমস্ত সম্পর্ক।কোনও পিছুটান না রেখেই এই সন্তানহারা বৃদ্ধা মা বলছেন, ‘‘আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে শুভেন্দুর বিরুদফহে দিল তাঁকে প্রার্থী করলে তিনি লড়তে প্রস্তুত।বলেন ” কুপুত্র থেকে নিপুত্র ভালো।’’ আরও বলছেন, ‘‘লড়াইয়ে আমার ভূমিকা তো থাকবেই।এওমন সন্তানের বিরুদ্ধে যদি আমাকে লড়তে হয় তো লড়ব।’’
বাম সরকারের জমি অধিগ্রহনের বিরুদ্ধে জমি রক্ষার আন্দোলনে ২০০৭ সালে ১৪ মার্চ পুলিশের গুলিতে মৃত ১৪ জনের মধ্যে ছিলেন ফিরোজা বিবির ছেলে শেখ ইমদাদুল। তখন থেকেই তাঁর পরিচয় ‘শহিদের মা’ বা ‘নন্দীগ্রামের মা’ হিসেবে। এছড়াও তাঁর পরিচয় তিনি নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের দুই বারের প্রাক্তন বিধায়ক।২০০৯ সালের উপ নির্বাচনে ‘শহিদের মা’ হিসেবে তাঁকেই প্রার্থী করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই নির্বাচনে ৩৯,৪৫৯ ভোটে জয় পান নন্দীগ্রাম আন্দোলনে নিহত শহিদের মা। ২০০৯ সালের উপনির্বাচনের পর ২০১১ সালের ভোটেও নন্দীগ্রাম থেকেই বিধায়ক হয়েছিলেন ফিরোজা। পরে ২০১৬ সালের নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী এই আসনে লড়াই করেন ।ফিরোজা বিবি পূর্ব পাঁশকুড়া থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তৃনমূলের টিকিটে।
গত ১০-১২ বছরে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তৃনমূলের অন্যতম মুখ শুভেন্দু অধিকারীর সাথে নন্দীগ্রামের মা ফিরোজা বিবির সম্পর্ক ছিল মা-ছেলের মতোই। কিন্তু পুত্রসম শুভেন্দুর দলবদলে রুষ্ট হয়েছেন ‘মা’।