
মঙ্গলবার বারাকপুর থেকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতেও পদ্ম ফোটাবেন তিনি।তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে অপসারণ করা হয় তাঁর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে।সেই রেশ কাটতে না কাটতে বুধবার সকাল সকাল কাঁথির করকুলিতে অধিকারীদের বাসস্থান ‘শান্তিকুঞ্জে’ হাজির হাওড়া, হুগলি ও মেদিনীপুর জ়োনের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক তথা বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহতো।
সকাল ১০টা নাগাদ অধিকারী পরিবারের বাড়ি কাঁথির শান্তিকুঞ্জে আসেন জ্যোতির্ময় মাহাত ৷ অধিকারী পরিবার ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, সেই সময় বাড়িতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা তৃনমূল সাংসদ শিশির অধিকারী ও সেজ ভাই সাংদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী ৷
এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে শুভেন্দু সহ অধিকারী পরিবারের অপর তিন সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেন ওই বিজেপি সাংসদ ৷ বৈঠক শেষে মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শুভেন্দু ৷ এই ঘটনার পর থেকে অধিকারী পরিবারের অবস্থান নিয়ে সরগরম জেলার রাজনীতি ৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, গতকাল শুভেন্দুর ওই বক্তব্যের পালটা সৌমেন্দুকে কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জেরে তৃণমূল-অধিকারী পরিবারের ফাটল আরও চওড়া হল ৷
যদিও এই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করছেন জ্যোতির্ময় মাহাত ৷ বৈঠক শেষে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংসদ জানান, “আমি এই জ়োনে বিজেপির পর্যবেক্ষক ৷ তাই বিজেপির অপর কার্যকর্তার বাড়িতে চা পান অস্বাভাবিক নয়৷”
শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই অধিকারী পরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতী কাঁথিতে তৃণমূলের সভাতে শিশির-সহ পরিবারে অন্যান্য তৃণমূল সদস্যদের দেখা যায়নি। অন্যদিকে, তৃণমূলও অধিকারী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে।
সূত্রের খবর, বিবেকানন্দের জন্মদিন অর্থাৎ ১২ জানুয়ারি ফের বঙ্গে আসছেন অমিত শাহ। গত বার ১৯ ডিসেম্বর এসে শুভেন্দু-সহ ১০ বিধায়ক, সাংসদ এবং একাধিক তৃণমূল কর্মীকে বিজেপিতে যোগদান করান তিনি। এবারেও এমন চমক দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জ্যোর্তিময় মাহতো বলেন, “তৃণমূলের অনেক নেতা-মন্ত্রীরা যোগাযোগ রাখছে। আশা করা যাচ্ছে, অমিতজীর সভায় তাঁদের যোগদান করানো যেতে পারে।”