
লকডাউনের সময় থেকে শুভেন্দু অধিকারীর সাথে তৃনমূলের দুরত্ব বাড়তে শুরু করে ।এর মধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের দূরত্ব বেড়েছে বলেই বেশ কয়েকদিন ধরে মনে করছিল রাজনৈতিক মহলে।সেই দুরত্ব আরো বাড়লো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক পদ থেকে তাঁর ছোট ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারীকে সরানোর ফলে ।
এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। জানালেন, পুরসভায় তাঁর যে দপ্তর রয়েছে সেখানে আর যাবেন না তিনি। যদিও এদিনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
তাঁর বাড়িতে যে তিন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আছেন, তাঁরাও ‘পদ্ম ফোটাবেন’। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের পথসভা থেকে ঘোষনা করেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ঘোষনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরানো হল তাঁর ছোট ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারীকে।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানার পরেই এই অপসারণ অত্যন্ত দুঃখজনক বলেই মন্তব্য করেছেন তমলুকের সাংসদ তথা সৌমেন্দুর দাদা দিব্যেন্দু অধিকারী।
তাঁর কথায়, “যাকে প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে তিনি এলাকার ভোটারই নন। প্রায় ৫০ বছর ধরে কাঁথি পুরসভার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। পুরসভায় আমার একটি অফিস ছিল। সেখানে আর যাব না। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি।” প্রতিবাদ জানালেও এদিনও নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দিব্যেন্দু। বলেছেন, “সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি। কিন্তু আমি তৃণমূলের সাংসদ। বাবা জেলা সভাপতি। দিদির প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে।”
এদিন রাতেই কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদে দায়িত্ব পান প্রাক্তন কাউন্সিলর সিদ্ধার্থ মাইতি।পাঁচ জনের পুর প্রশাসক বোর্ডে স্থান পেয়েছেন প্রাক্তন কাউন্সিলর সুবল মান্না, সিদ্ধার্থ মাইতির স্ত্রী প্রাক্তন কাউন্সিলার পম্পা রাণী মাইতি, জেলা পরিষদের কোমেন্টর হাবিবুর রহমান,প্রাক্তন কাউন্সিলার সেক সাবুল। ৬ জুন পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। তারপরেই প্রশাসক নিয়োগ হয়।