
রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে বেশী চর্চিত ঘটনা নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা প্রাক্তন পরিবহন,সেচ ও জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান।আসন্ন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃনমুলে নাকি প্রধান বিরোধী দল বিজেপিতে তাই নিয়ে আলোচনা সর্বত্র।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর এই প্রশ্নের কিছুটা যবানিকার পরিবেশ তৈরী হলেও ইতি পড়লো না ।কারন নিজের স্বভাবসিদ্ধ পন্থায় খোদ শুভেন্দু অধিকারী চুপ থাকায় !
শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান রহস্যের কিছুটা যবানিকা টেনেছেন তৃনমূলের প্রবীন সাংসদ সৌগত রায় ।তিনি জানান কোন্দল মিটিয়ে দলের ভাঙন রোধ করতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারের কাছে একটি বাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের ‘ভোট কৌশলী’ প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকের বৈঠক হয়।সেই বৈঠকে তিনি নিজে এবং আরো এক প্রবীন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর সৌগত দবি করেন, ‘‘সমস্ত সমস্যা মিটে গিয়েছে। শুভেন্দু জানিয়েছে, ও দল ছাড়ছে না। বিধায়ক পদও ছাড়ছে না। বাকি শুভেন্দুই পরে জানাবে।’’ যদিও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এ ব্যাপারে শুভেন্দুর কোনও বক্তব্য জানা যায়নি।
বৈঠকের বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “সমস্যা মিটে গেলে ভাল। পার্টির জন্য মঙ্গল।”
উল্লেখ্য, সদ্য মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করলেও বিধায়ক পদ ও তৃণমূল ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। তবে তৃণমূল হাইকমান্ডের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ঠান্ডা লড়াইর চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছিল বেশ কয়েকমাস ধরেই। তাঁর নামে পোস্টার পড়তে শুরু করেছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। পোস্টার দিচ্ছিল শুভেন্দুর অনুগামীরা।
সেই অনুগামীরাই প্রশ্ন তুলছেন এই বৈঠক ও তার ফলাফল নিয়ে।সে ক্ষেত্রে গত ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর একটা বক্তব্য তুলে ধরেছেন সোস্যাল মিডিয়ায়।দাদা মানে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠক নিয়ে কোন মন্তব্য না মেলায় এর সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন অনুগামীদের মধ্যে।
ফলে আগ্মী দিনে কী করেন এবং ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে মমতা ব্যানার্জীর সভায় তিনি যান কি না, তার দিকে গোটা রাজ্য আগ্রহভরে তাকিয়ে থাকবে।