
মাঝে মাত্র তিন দিন।ফের উতপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরী।এক সময় বামেদের গড় বলে পরিচিত খেজুরীতে সিপিএম থেকে বিজেপিতে আসা কর্মী সমর্থকেরা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরীর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করলো শাসক দল।উল্টো দিকে বিজেপির দাবী খেজুরীতে তাঁদের জনপ্রিয়তা বাড়আয় শাসক দল ভয় পেয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরী করছে। প্রসঙ্গত রাজ্যের পরিবহন,সেচ ও জল সম্পদ মন্ত্রীত্ব থেকে শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী ইস্তাফা দেওয়ার পর এদিন রাতে আচমকা খেজুরী-১
ব্লকের বীরবন্দর পঞ্চায়েত এলাকার ৬টি তৃণমূলের দলীয় অফিস দখলের প্রচেষ্টা চালায় বিজেপি।সেই প্রচেষ্টা ব্যার্থ হওয়ার পরে এবার মঙ্গলবার ফের উত্তেজনা তৈরীর প্রচেষ্টা চালালো বিজেপি।
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার খেজুরি ২ দক্ষিণ মণ্ডলের বোগা মোড়ে বিজেপির তরফে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে কর্মীরা জমায়েত করতেই অতর্কিতে হামলা চালায় একদল। বিজেপি কর্মীদের উপর উদ্দেশ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। চলে গুলি। অভিযোগ, একের পর বিজেপি কর্মীদের বাইকে ভাঙচুর চালায় অভিযুক্তরা। যার জেরে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বিজেপি নেতা নেতা শঙ্কর মাইতি বলেন, “এদিন আমরা বোগা মোড়ে দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর রসুলপুরে চলে যাই ৷ ফেরার সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে আমাদের উপর বোম ফেলে ৷ আমাদের ১৫ থেকে ২০টি বাইকে ভাঙচুর চালানো হয় ৷ চারজন কর্মীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ পুলিশ প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করেছিল ৷ যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের মোটরবাইক ও চারজনকে ছেড়ে না দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালাব ৷”
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখাতেই এই হামলা। পাশাপাশি অনুপ বাবু বলেন ওরা বোধহয় জানেনা এভাবে বিজেপিকে ভয়
দেখানো যাবে না।
যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বে। শাসকদলকে কালিমালিপ্ত করতেই এই চক্রান্ত বলে দাবি তাঁদের।
যুব তৃনমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন,”এটা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের ফল । আসলে টাকা পয়সা নিয়ে এই ঝামেলা । তৃণমূল এর সঙ্গে জড়িত নয় ।বিজেপির লোকেরা সন্ত্রাস চালিয়ে চারটি ঘর পুড়িয়েছে । এবং বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর চালায় । আমি পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি ।”
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় খেজুরি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। শেষ পাওয়া খবর অনুয়ায়ী, এখনও ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ।