
তিনি আগেও পরিস্কার করে বলেছেন অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি রাজনৈতিক কথা বলেন না।তবু এদিনের সভায় শুভেন্দু অধিকারী কোন বার্তা দিতে পারেন বলে সংবাদ মাধ্যম ও রাজনৈতিক মহলে চর্চা বাড়ায় সাধারন মানুষের মধ্যে উৎসাহ চরম আকার ধারন করে। কিন্তু শুভেন্দুর মুখ থেকে রবিবার যাঁরা রাজনৈতিক বক্তব্য শোনার অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা হতাশই হলেন।
রাজ্যে তৃনমূলের দ্বিতীয় সরকারে প্রায় সাড়ে ৪ বছর মন্ত্রী থাকার পর রবিবার মন্ত্রী না-থাকা শুভেন্দু অধিকারীর মহিষাদল রাজবাড়ির ছোলাবাড়িতে ছিল প্রথম সভা। শুক্রবার মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর থেকেই কার্যত লোকচক্ষুর আড়ালে থাকেন শুভেন্দু। শনিবার প্রায় দিনভর কাঁথির বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’-এই কাটান শুভেন্দু। পূর্ব ঘোষণা
মতোই এ দিন সদ্যপ্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়ালের স্মরণসভায় আসেন তিনি। রবিবার মহিষাদলে সভা বেলা ৩টে থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুভেন্দু আসেন সওয়া ৪টে নাগাদ।
বিগত কয়েকটি সভার মত মতো রবিবারও মহিষাদলের অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে কোনও দলীয় বার্তা দিলেন না শুভেন্দু। শুধু বললেন, এ দেশের সংবিধানের শক্তিতে মানুষই শেষ কথা বলে। যদিও এখনও পর্যন্ত তিনি দল ছাড়ার বিষয়ে দূরের কথা, সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণও করেননি। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি নানা
অরাজনৈতিক সভা করলেও সে ভাবে রাজনীতির কথা বলেননি। কিন্তু মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর কি সেই পথে হাঁটবেন? এ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয় শুক্রবার মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর থেকেই।
সরাসরি না বললেও ইঙ্গিতবাহী কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী ডিসেম্বর মাসে সঙ্গীদের নিয়ে ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিন,তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের সর্বাধিনায়কের জন্ম দিন ও তাম্রলিপ্ত সরকার গঠনের বর্ষপূর্তি পালন করবেন তিনি। এরপরেই ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেন শুভেন্দু,বলেন বাংলা ও বাঙ্গালীর সেবক হিসাবে আপনাদের পাশে থাকবো