
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত এর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শাসক দলের জন প্রতিনিধিদের ভাঙ্গানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলো বিজেপি।জন প্রতিনিধিদের পাশাপাশি এই জেলায় সংখ্যালঘুদের মধ্যেও নিজেদের প্রভাব আরো বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ।
সেই কর্মসূচীতে গতি বাড়িয়ে রাজ্যের শাসকের গড় বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা থেকে বড় মাপের জনসভা করে সরকার পরিবর্তনের ডাক দিলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব। বুধবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদাতে রেল সংলগ্ন মাঠে একটি জনসভা করেন।
প্রত্যাশা মত এদিন সভায় তৃণমূলের জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান বিজেপিতে যোগদান করেন। নবাগত এই কর্মাধ্যক্ষের হাতে বিজেপি দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।সেই সাথে এদিনের সভা এক ঝাঁক সংখ্যালঘু মহিলা-পুরুষ সহ আরও দুই শতাধিক মানুষ বিজেপিতে যোগদান করেন।
মেচেদার এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়,রাজ্য কৃষাণ মোর্চা সভাপতি মহাদেব সরকার,যুব মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা সহ একঝাক বিজেপি নেতৃত্ব।
পূর্ব মেদিনীপুরে মেচেদার এই সমাবেশকে ঐতিহাসিক ঘোষনা করে রাজ্যের মমতা ব্যানার্জীর সরকারের বিরুদ্ধে গরিবদের শোষণ করার অভিযোগ তুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “মোদীজি গরিবদের কথা ভাবছেন আর মমতা গরিবদের শোষণ করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে গোটা বাংলার মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। অভিযোগ করেন যে প্রকল্পের জন্য মোদিজি টাকা পাঠিয়ে ছিলেন। সেই প্রকল্প এগোচ্ছেনা।অথচ কেন্দ্রের পাঠানো টাকা মমতার সরকার আত্মসাৎ করেছে।
বলেন পশ্চিমবাংলায় যখন আম্ফান এসেছিল তখন মোদীজি এসেছিলেন। মমতার পাশে থেকে গোটা পরিস্থিতি দেখেছিলেন। ১০০০ কোটি টাকা মমতাকে দিয়ে বলেছিলেন গরিবদের দেওয়ার জন্য। মোদীজি যে টাকা দিয়েছেন মমতা সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। উনার সিন্ডিকেট রাজ পুরো টাকা খেয়ে নিয়েছেন। গরিবের কাছে কোন টাকা যায়নি”। তিনি আরও বলেন, “মোদীজি বলছেন সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস। এটাই ভারতীয় জনতা পার্টির মন্ত্র। কিন্তু মমতার মন্ত্র হলো মহরমের মিছিল যেতে দাও, দূর্গা মায়ের বিসর্জন রুখে দাও।”