
তৃনমুলের ব্যানার,পতাকা আর মমতা ব্যানার্জীর ছবি বাদ দিয়ে ২০১০ সালের পর প্রথমবার খেজুরীতে পালন হল হার্মাদ মুক্তি দিবস।সেই কর্মসূচীতে মমতা ব্যানার্জী আর তৃনমুলের নাম উল্লেখ না করেই শুভেন্দু অধিকারী তাঁর ভাষনে বলেন “বেলা ১২টায় মা-বাবার আশির্বাদ আর ভগবানকে ডেকে কামারদায় হার্মাদ ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলাম।ওরা হতচকিত হয়ে যায়।থ্রি নট থ্রি বন্দুক ছিলো টেবিলের উপরে।তবু মনের জোরকে পাথেয় করে ওদের তাড়া করে ছিলাম।আধ ঘন্টার মধ্যে আপনারাও রাস্তায় নামেন।বেলা আড়াইটার মধ্যে দেউলপোতা দিয়ে উড়িষ্যা কোস্ট ক্যানেল পেরিয়ে হার্মাদ বাহিনী সুনিয়াতে গিয়ে আশ্রয় নেয় “।
মঙ্গলবার কামারদা বাজারে খেজুরীর হামার্দ মুক্তি দিবসের ১০ বর্ষ পুর্তি সভার আগে রাজ্যের পরিবহন,সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সভার আগে বাশঁগোড়া থেকে কয়েক হাজার মানুষকে নিয়ে মিছিল হয় ।তবে এই সভা ও মিছিলে ছিলোনা তৃনমূলের পতাকা।শুভেন্দু অধিকারীর এই কর্মসূচীতে তিনি ছাড়াও খেজুরীর বিধায়ক রনজিৎ মন্ডল,উত্তর কাঁথির বিধায়ক বনশ্রী মাইতি,জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মধুরিমা মন্ডলকে দেখা যায়।
কামারদা বাজারে নিজের ভাষনে গত ২০১০ সালে তৎকালীন খেজুরীর রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন।বলেন ২০১০ সালের আগে খেজুরীতে গনতন্ত্র ছিলো না ।বিরোধীদের কন্ঠ রোধ করে রাখা হতো ।বয়কট,জরিমানা,পুকুরে বিষ দেওয়া,জমি থেকে ধান কেটে নেওয়া ইত্যাদি মধ্য যুগীয় বর্বরতা চালাতো সিপিএমের হার্মাদরা।আর তাদের সাহায্য করতো তৎকালীন পুলিশ।শুভেন্দু বাবু বলেন ৩০০ জন বন্দুকধারি হার্মাদদের দিয়ে,নির্বিচারে গুলি চালিয়ে এলাকা দখল করেছিলো সিপিএম।বলেন খেজুরীর এই গনতন্ত্র,বাক স্বাধীনতা চিরস্থায়ী হোক সেটা কামনা করি।
উল্লেখ্য গত ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে রক্তস্নাত সূর্যোদয় দিবসের প্রতিবাদ সভাও হয়েছিলো তৃনমুলের ব্যানার,পতাকা আর মমতা ব্যানার্জীর ছবি বাদ দিয়ে।