
ঋণ শোধ না করা এবং আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করলো পুলিশ।৫৩ বছরের এক ইন্টেরিয়র ডিজাইনারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে মুম্বইয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আলিবগ থানার পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ভ্যানে করে অর্ণবকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
টুইট করে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন, প্রকাশ জাভড়েকর ও স্মৃতি ইরানির মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।
The Editors Guild of India condemns arrest of Arnab Goswami, editor-in-chief of Republic TV.
"The Guild calls upon Maharashtra CM to ensure that Goswami is treated fairly and state power is not used against critical reporting by media." https://t.co/DHM3CKBWD1
— ANI (@ANI) November 4, 2020
যে মামলায় অর্ণবকে আটক করা হয়েছে সেটি বছর দুয়েকের পুরনো। রিপাবলিক টিভির সম্পাদকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করা এবং আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ ছিল।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই আইনি জটিলতায় জড়িয়ে আছেন অর্ণব। টিআরপি কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই তাঁর এবং তাঁর চ্যানেলের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সম্প্রতি পালঘর সাধু হত্যা এবং বান্দ্রার পরিযায়ী শ্রমিক বিক্ষোভ মামলায় রিপাবলিক টিভির সম্পাদককে নতুন করে নোটিস পাঠিয়েছে মুম্বই পুলিশ। এবার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হল।
২০১৮ সালে মুম্বইয়ের এক ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং তাঁর মা আত্মহত্যা করেন। মুম্বই পুলিশের দাবি, তাঁদের সুইসাইড নোটে নাকি বলা হয়েছিল, অর্ণব গোস্বামী ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা শোধ না করায় আর্থিক অনটনে পড়তে হয়েছে, এবং সেকারণেই তাঁরা আত্মহত্যা করছেন।সুইসাইড নোটে অর্ণব গোস্বামী-সহ ২ জনের নাম ছিল। তাঁরা হলেন ফিরোজ শেখ ও নীতেশ সারদা। তারপরই অর্ণবের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপি এবং আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন ওই ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের ছেলে।
We condemn the attack on press freedom in #Maharashtra. This is not the way to treat the Press. This reminds us of the emergency days when the press was treated like this.@PIB_India @DDNewslive @republic
— Prakash Javadekar (@PrakashJavdekar) November 4, 2020
গতবছর অবশ্য প্রাথমিক তদন্তের পর মামলাটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু নতুন সরকার আসার পর তা আবার চালু হয়। এবার এই মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।