
রবিবার সাতসকালেই দুঃসংবাদ। কেষ্টপুর সমর সরণিতে নিজের বাড়িতেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর জখম জ্যোতিষী জয়ন্ত শাস্ত্রী । তাঁকে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে ।বাংলার বিভিন্ন বৈদ্যুতিন চ্যানেলে নিয়মিত অনুষ্ঠান করতেন মধ্যবয়সি এই জ্যোতিষী।
পুলিশ এবং দলকলকর্মীদেরও প্রাথমিক অনুমান, সিগারেট থেকে কোনও ভাবে জয়ন্তর খাওয়ার ঘরে রাখা সোফাতে আগুন লেগে যায়। সেই আগুন থেকে ঘরে ঘন ধোঁয়া তৈরি হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গভীর রাত পর্যন্ত সিগারেট খেয়েছেন তিনি। অসাবধানতাবশত সেই সিগারেট থেকে আগুন লেগে যায়। তদন্তকারীদের ধারণা, আগুন অনেকটা ছড়িয়ে পড়ার পর সম্ভবত ঘুম ভাঙে তাঁর। ধোঁয়ার মধ্যে আগুন নেভাতে গিয়ে হাত পা পুড়িয়ে ফেলেন তিনি। তার মধ্যেই ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন।
প্রতিবেশীদের বক্তব্য অনুযায়ী, স্ত্রীকে নিয়ে কেষ্টপুরের এই বাড়িতে থাকতেন জ্যোতিষী। তবে কৃষ্ণনগরে তাঁর স্ত্রী বাপের বাড়িতে গিয়েছেন। তাই শনিবার রাতে বাড়িতে একাই ছিলেন খ্যাতনামা জ্যোতিষী। রবিবার সকালে যে এমন কাণ্ড ঘটবে তা কল্পনা করতে পারেননি কেউই।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। দমকলকর্মীরা তালা ভেঙে দোতলায় গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
দেখা যায়, দোতলায় খাওয়ার ঘরের মেঝেতে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন জয়ন্ত। তাঁর হাতে এবং পায়ে আগুনে পোড়ার চিহ্ন। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকরা পুলিশকে জানিয়েছেন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে নয়, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই জ্যোতিষীর।
তবে তদন্তকারীরা এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চান না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট পেলে তবেই মৃত্যুর কারণ এবং আগুন নাগার কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা।