
মারন ভাইরাস করোনা আবহে সারা দেশ জুড়ে আতংকের পরিবেশ।তার মধ্যেই দূর্গা পুজা এসে পড়েছে।এদিকে করোনার সংক্রমন ঠেকাতে কয়েক মাস ধরে টানা লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়ে মানুষ জর্জরিত, দিশাহারা, মানুষের আয় সংকুচিত, সংসার চালাতে ও ছেলেমেয়েদের খাওয়া-দাওয়া পড়াশোনার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রায় সকলে।এই অবস্থায় পুজার পোষাক কেনা তো স্বপ্নের অতীত।
ঠিক তখনই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন নবমীর পূর্ণ লগ্নে প্রায় দেড়শতাধিক শিশুর মুখের এক মুঠো হাসি ফোটানোর জন্য পাঁউশি অন্ত্যদয় অনাথ আশ্রমে উপস্থিত হলেন।জেলা প্রশাসনের সর্বময় কর্তা তথা জেলাশাসক পার্থ ঘোষ সশরীরে হাজির হয়ে শিশুদের হাতে নতুন জামা কাপড় তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাঁথির মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য,পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক পূর্ণেন্দু পৌরাণিক, শিশু কল্যাণ কমিটির চেয়ারপারসন ড: দিলীপ কুমার দাস, ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও জয়দেব মণ্ডল, গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মিহির কুমার ভৌমিক প্রমূখ।
জেলাশাসক আশ্রম প্রাঙ্গণ ও আশ্রম পরিচালিত স্নেহ ছায়া শিশু আবাস ঘুরে দেখেন। দুটি জায়গার পরিবেশ দেখে তিনি খুব প্রশংসা করেন। আগামী দিনে আরও বিভিন্ন প্রজেক্ট দিয়ে আরও উন্নতির আশ্বাস দেন। আশ্রম প্রাঙ্গণে প্রার্থনা হলের অভাব মোচন এবং ২৫ বছর পূর্তির স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য আশ্রম কর্তৃপক্ষ জেলা শাসক দ্বারা প্রার্থনা হল এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পরে জেলাশাসক পার্থ ঘোষ আশ্রমের শিশুদের সঙ্গে একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজনে অংশগ্রহণ করে ন। আশ্রমের কর্ণধার বলরাম করণ তার আবেগ আপ্লুত ভাষণে বলেন আজ আমাদের খুশির দিন। এই প্রথম কোনো জেলাশাসক আমার এই আশ্রমের উপস্থিত হলেন।বলেন আমরা আশ্রম কর্তৃপক্ষ ও দুটি জায়গার শিশুরা খুবই আনন্দিত।