
পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি জনাব আবু তাহের কামরুদ্দিন সরকারী হাই মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আগামী ১২ অক্টোবর থেক ১৯ অক্টোবর বেতার বা ইউটিউব মারফত পঠনপাঠন প্রক্রিয়ার সূচী ঘোষণা করেছেন।
পর্ষদ অনুমোদিত সমস্ত হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক /শিক্ষিকা ও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক / শিক্ষিকা দের এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন।রেডিও- র ব্যবহার ইদানিং কালে নেই বললেই চলে। মাদ্রাসায় পাঠরত অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী রা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া পরিবারভূক্ত।সংখ্যালঘু ও অন্যান্য অনুন্নত সম্প্রদায়ভূক্ত বেশীরভাগ ছাত্রছাত্রীদের না অাছে রেডিও বা না আছে স্মার্ট ফোন। তাহলে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের বেতার বা লিঙ্ক মারফত পঠনপাঠনের সুযোগ বেশীরভাগ ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছাবে কি করে?
বেশীর ভাগ প্রধান শিক্ষকেরা প্রশ্ন তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ যদি টেলিভিশন মারফত পঠনপাঠন চালু করতে পারে তাহলে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের ক্ষেত্রে রেডিও বা লিঙ্ক মারফত কেন?সিপিআইএম নেতা তথা প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মামুদ হোসেন রাজ্য সরকারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে অবিলম্বে মাদ্রাসা র সকল ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্মার্ট ফোন ও রেডিও সরকারীভাবে সরবরাহ করার দাবী জানিয়েছেন।
প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন লকডাউন জনিত কারণে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় ৭ মাস বন্ধ আছে। তাই সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল দেওয়ার পরিবর্তে স্মার্ট ফোন প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া উচিত রাজ্য সরকারের। মাদ্রাসা র ছাত্র ছাত্রী দের রেডিও র সুরাহা না করে বেতারে শিক্ষাদানের প্রক্রিয়া বাস্তবসম্মত নয় বলে অভিমত প্রকাশ করেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মামুদ হোসেন।
তাছাড়া মধ্য শিক্ষা পর্ষদ যদি টেলিভিশন মারফত পঠনপাঠন চালু করতে পারে তাহলে মাদ্রাসা পর্ষদের ক্ষেত্রে বেতারের মাধ্যমে পঠনপাঠন এক ধরনের বৈষম্য বলে জানান সিপিআইএম নেতা মামুদ হোসেন। এই ধরনের অব্যবস্হার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে বলে জানান সিপিআইএম নেতা মামুদ হোসেন