
বিজেপির নবান্ন অভিযানে শিখ সম্প্রদায়ের এক জনের পাগড়ি খোলা নিয়ে বিতর্কে এ বার ময়দানে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। ওই কাণ্ডে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একই সুর শোনা গিয়েছে শিরোমণি অকালি দল (এসএডি)-এর প্রধান সুখবীর সিংহ বাদলের গলাতেও।অপরদিকে এই কান্ডে আর এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে গিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। বর্ধমানে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য পুলিশকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
বিতর্কের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার বিজেপির ‘নবান্ন চলো’ অভিযানে। ওই কর্মসূচি চলাকালীন বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে। কোথাও কোথাও তা ধস্তাধস্তির চেহারা নেয়। সেই সময়ের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সেদিন সন্ধ্যা থেকেই। তাতে দেখা যায় এক শিখ যুবককে আটক করছে পুলিশ। তখন টানাহ্যাঁচড়ায় তাঁর পাগড়িটি খুলে যাচ্ছে। সেই পাগড়ি খোলার ঘটনা ঘিরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
Strongly condemn the vicious attack on a Sikh security official Balwinder Singh & disrespect of his #turban by West Bengal Police. The dishonour has infuriated Sikhs across the world. I urge @MamataOfficial ji to take exemplary action against the erring policemen. pic.twitter.com/o0QUP9pnWJ
— Sukhbir Singh Badal (@officeofssbadal) October 9, 2020
সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমাদের প্রিয়াংশু পাণ্ডের দেহরক্ষী। দেহরক্ষীকে কেস দেওয়ার কোনও কেস দেওয়া বা গ্রেপ্তার করার আইন নেই। তাকে যেভাবে পুলিশ মেরেছে তা নিন্দনীয়। আমি চ্যালেঞ্জ করছি পুলিশকে যদি গোল টুপি মাথায় থাকত তবে মারতে পারত? একজন শিখ বলে পাগড়ি খুলে দিয়েছে। যারা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত তাদের লাথি খেয়ে শান্তিমিছিল করে। আমরা আইন মানি বলেই এসব হচ্ছে। এসব অগণতান্ত্রিক এবং তোষণের রাজনীতি।”
অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ এক শিখ যুবককে কী ভাবে হেনস্থা করছে, গ্রেফতারের সময় পাগড়ি খুলে দিচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করায় সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।’
পাগড়ি বিতর্কের প্রথম ধাপেই অবশ্য শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। এখনও সেই বক্তব্যেই অটল হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট বা রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তারা। শুক্রবার রাতেই রাজ্য পুলিশ বলবিন্দরের ঘটনা সম্পর্কে বিজেপির নবান্ন অভিযানের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে।পুলিশের দাবি ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সামান্য একটা ঘটনা নিয়ে জল ঘোলা করা হচ্ছে।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘ধস্তাধস্তির সময় এ রকম ঘটনা ঘটতেই পারে। কেউ ইচ্ছে করে টান মেরে তাঁর পাগড়ি খুলে দেয়নি বা কোনও ধর্মকে অসম্মান করেনি।’’
The concerned person was carrying firearms in yesterday's protest. The Pagri had fallen off automatically in the scuffle that ensued,without any attempt to do so by our officer (visible in the video attached). It is never our intention to hurt the sentiments of any community(1/2) pic.twitter.com/aE8UgN36W5
— West Bengal Police (@WBPolice) October 9, 2020
বলবিন্দর সিংয়ের গ্রেপ্তারির মাধ্যমে এটা পরিস্কার হচ্ছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রাজ্যে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি আরো বাড়বে