
প্রদীপ কুমার সিংহ
কয়েক মাসের মধ্যে বাঘ সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় মৎস্যজীবীদের টেনে নিয়ে গেছে। এর ফলে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। অবশ্য মৎস্যজীবীদের কয়েকটি দেহ পাওয়া গেছে কয়েকটি পাওয়া যায়নি।
আবার বাঘ বেরিয়ে ছিল বনদপ্তর তৎপরতায় বাঘটিকে খাঁচায় ধরা হয়েছিল। বুধবার সন্ধ্যায় সুন্দরবনের কলস জঙ্গলে খাঁচায় বন্দী হওয়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার কে ছেড়ে দিল বন দফতরের বনকমীর্রা।মঙ্গলবার গভীর রাতে সুন্দরবনের আজমল মারি ১২ নম্বর জঙ্গলে বন দফতরের বনকমীর্রা তিনটি খাঁচা পেতে ছিল ছাগলের টোপ দিয়ে।আর সেই পাতা খাঁচায় বন্দী হয় পূর্ণ বয়স্ক রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
ফলে বাঘ ধরা পড়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল মৈপিঠের ৬ নম্বর বৈকন্ঠপুরের এলাকার মানুষজন।রাতেই বনকমীর্রা বাঘটিকে ঝড়খালির ব্যাঘ্র পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা সারা দিন বাঘের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালায়।বাঘটি সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ থাকায় জঙ্গলের বাঘ জঙ্গলেই ছেড়ে বনকমীর্রা।
গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পরই বৈকুন্ঠপুর ৬ নম্বর গ্রামের বাসিন্দা ভীম নায়েক ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির সাংসারিক কাজকর্ম করছিল।সেই সময় ঠাকুরান নদীর শাখা ওরিয়েন নালা নদীর পাড় সংলগ্ন গৃহস্থের গোয়াল ঘরে গরুরু আর্তনাদ শুনতে পায়।তারপরেই বাঘের গর্জন শুনতে পায়।ফলে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।পরের দিন মঙ্গলবার দুপুরে বন দফতরের আধিকারিকরা,কর্মীরা বাজি পটকা পাঠিয়ে নদী থেকে বাঘকে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়।কিন্তু রাতেই শিকারের নেশায় বাঘ আবার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এলে বন দফতরের পাতা খাঁচায় বাঘ বন্দী হয়ে যায় এমনি জানান বন দফতর।
তবে এদিন বিকেলে বাঘের সঠিক অবস্থান জানতে বনদফতরের কর্তারা নদী ও জঙ্গলে ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশি চালায়। এমনকি বাঘের পায়ের ছাপ পরীক্ষা করা হয়।এই নিয়ে গ্রামবাসীরা জানিয়েছিল, জঙ্গল থেকে আসার পায়ের ছাপ মিললেও গ্রাম থেকে খারি পথ ধরে বেরিয়ে যাবার পায়ের ছাপ মেলেনি।এর জেরেই সন্ধ্যার পর থেকেই ঠাকুরান নদী সংলগ্ন আজমলমারি ১২ নম্বর জঙ্গলে খাচাঁ পাতার উদ্যোগ নেয় বন দফতের কর্মীরা।
তারপর রাতেই সেই খাঁচাতে বন্দী হয়ে যায় সুন্দর বনের রাজা।ঝড়খালি রেসকিউ সেন্টারে জল পথে নিয়ে যাওয়া হয় বাঘটি।সেখানে সারাদিন ধরে চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে।বাঘটি সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ।বুধবার সন্ধ্যায় বাঘটিকে লঞ্চে করে জল পথে নিয়ে গিয়ে সুন্দরবনের কলস জঙ্গলে ছেড়ে দেয় বনকমীর্রা।বন দফতর জানান খাঁচায় বন্দী পূর্ণ বয়স্ক বাঘটি সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ।বাঘটি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।