
করোনা ভাইরাস সংক্রমন কালেই ফের নক্ষত্রপতন। প্রয়াত বাংলা সিনেমার প্রখ্যাত অভিনেতা তথা সংগীতশিল্পী শক্তি ঠাকুর। বড় মেয়ে মেহুলি গোস্বামী ঠাকুর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয় তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই শক্তিবাবু বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার ভোরে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮। এর আগেও তাঁর একবার স্ট্রোক হয়েছিল। তখন সামলে নিতে পারলেও এ বারে লড়াই ছেড়ে বিদায় নিলেন তিনি।
একাধিক বাংলা সিনেমা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শক্তি ঠাকুর। উৎপল দত্ত, বিকাশ রায়ের মতো কিংবদন্তি অভিনেতাদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর ভালবাসা ছিল গান। আধুনিক গান গেয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন শক্তি ঠাকুর।
গায়ক, অভিনেতা হিসাবে পরিচয় পেলেও প্রথম জীবনে শক্তি ঠাকুর ছিলেন স্কুল শিক্ষক। অঙ্ক ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়।
১৯৭৬-এ তপন সিংহের ‘হারমোনিয়াম’ ছবিতে নেপথ্য শিল্পী হিসেবে গানের দুনিয়ায় প্রথম পা রাখেন তিনি। তারপর আর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় শক্তি ঠাকুরকে দিয়ে তাঁর সুর করা বেশ কিছু বাংলা ছবিতে গান গাইয়েছেন। পাশপাশি, তিনি অভিনয় করেছেন তরুণ মজুমদারের ‘দাদার কীর্তি’, ভালবাসা ভালবাসা ছবিতে। এই ছবিতে অভিনয়ের সঙ্গে কোরাসে গলাও মেলান। এ ছাড়াও শক্তি ঠাকুর গান গেয়েছেন, অজয় দাস, আর ডি বর্মনের সুরে।
তাঁর ছোট মেয়ে মোনালি ঠাকুরও বাংলা ও হিন্দি গানের জগতে উজ্জ্বল নাম। তিনি করোনা পরিস্থিতিতে আটকে পড়েছেন সুইৎজারল্যান্ডে।
করোনা কালে একাধিক তারকাকে হারিয়েছে বিনোদন জগৎ। এপ্রিলেই একদিনের তফাতে ঋষি কাপুর এবং ইরফান খান প্রয়াত হন।চলতি বছরেই বাংলা হারিয়েছে আরও এক কিংবদন্তি শিল্পীকে। মার্চ মাসে প্রয়াত হন অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায় । এরই মধ্যে শক্তি ঠাকুরের প্রয়াণের খবরে ফের শোকের ছায়া টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ায়।