
আবার কুমির বাচ্চা উদ্ধার হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরে।এই নিয়ে প্রায় এক মাসের মধ্যে পরপর তিন তিনটে কুমির পাওয়া গেলো পূর্ব মেদিনীপুরের নদী তীরবর্তী বিভিন্ন জায়গায়!
এর আগে খেজুরিতে ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় কয়েক দিনের ব্যবধানে পরপর দুবার ধরা পড়ে ।এর রেশ কাটতে না কাটতে এবার পটাশপুরের খরিগেরিয়ার কাছে কেলেঘাই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে জালে ধরা পড়ে কুমির ছানা। প্রথমে এটিকে গোসাপ ভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা ।তবে সেই ভুল ভাঙ্গে।পরে এলাকার বাসিন্দারা বুঝতে পারে এটা ঘড়িয়াল বা অন্যকিছু নয়, প্রকৃত কুমিরই বটে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোথাও কুমির প্রকল্প বা কুমির চাষ করা হয় না। তাহলে কোথা থেকে আসছে এই কুমির বাচ্চারা?
এই প্রশ্নের উত্তরে পরিবেশ বন্ধু সোমনাথ দাস অধিকারী বলেন, লকডাউনে মানুষ ঘরবন্দী হয়ে যাওয়ায় খোলামেলা পরিবেশ পেয়ে কুমির বাচ্চা গুলি সুন্দরবন বা উড়িষ্যা থেকে পথ ভুল করে মিষ্টি জলে চলে এসেছে। আশংকা করছেন আমফান ঝড়ের কারনেও কোন গর্ভবতী মা কুমির এই এলাকায় চলে আসে ।তার জেরেই এই এলাকার বিভিন্ন নদী সংলগ্ন এলাকায় দেখা মিলছে কুমির ছানার।
খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান ।তাঁরা এই কুমির বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান ।
জানা গেছে পটাশপুরের কেলেঘাই নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া এই বাচ্চা কুমিরটিকে বায়ো ডাইভারসিটি বোর্ডের অনুমতি নিয়ে এগরা কলেজের অধ্যাপক সুদীপ্ত ঘোড়াই র হাতে তুলে দেওয়া হবে। এগরা কলেজে রেখেই কুমিরটি কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে গবেষণা করবেন সুদীপ্ত বাবু।
উল্লেখ চলতি মাসের ১২ তারিখে সমুদ্র সংলগ্ন খাঁড়িতে সকালে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে গিয়ে খেজুরি নিচকসবা গ্রামের বাসিন্দা মৎস্যজীবী নভেন্দু দাস এর জালে প্রথম উঠে এসেছিলো কুমির বাচ্চা ।এরপর গত ২৪ তারিখ খেজুরীর পশ্চিম পাঁচুড়িয়াতে মৎস্যজীবিদের হাতে ধরা পড়ে আরো একটি কুমির বাচ্চা ।