
অবশেষে স্তব্ধ হল বাহান্ন দিনের নিরন্তর যুদ্ধ। প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এস পি বালসুব্রহ্মণ্যম। শুক্রবার দুপুর একটা নাগাদ চেন্নাইয়ের এক হাসপাতালে মারা গেলেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।সংগীত জগতে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যম।
৫৫ বছরের সঙ্গীতের কেরিয়ারে প্রায় ৪০,০০০-এরও বেশি গান গেয়েছেন এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যম। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫ অগস্ট থেকে এমজিএম হেলথ কেয়ারে ভর্তি ছিলেন তিনি।
করোনা নেগেটিভও হয়ে যায় তাঁর। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাননি। মাঝে অবস্থার উন্নতি হলেও ফের তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়ে ওঠে। হাসপাতালের তরফে প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়, তাঁকে সর্বোচ্চ লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ফের তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়া শুরু হয়।
১৯৪৬ সালে নেল্লোরের তেলুগু পরিবারে জন্ম কিংবদন্তি সংগীত শিল্পীর। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি অনুরাগ। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সময় বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। জয়ীও হতেন। সিনেমায় নেপথ্য গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া তেলুগু ছবু ‘শ্রী শ্রী মর্যাদা রামান্না’র হাত ধরে। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কখনও। তেলুগুর পাশাপাশি তামিল, কন্নড়, মালয়ালম, হিন্দি সিনেমায় সমানতালে গান গেয়ে গিয়েছেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বরই এসপি বালাসুহ্মণ্যম-এর ছেলে এস পি চরণ ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন শিল্পীর অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। চলছে ভেন্টিলেটর এবং ফিজিওথেরাপি। জলও খেতে পারছেন। হাসপাতাল ছেড়ে দ্রুত বাড়ি ফিরতে চান তিনি। তাঁর প্রয়াণে রাজনীতি থেকে বিনোদনের জগত্ – সবাই গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন।