
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরিতে মৎস্যজীবিদের জালে উদ্ধার হল একটা বাচ্চা কুমির!
মৎস্যজীবিদের জালে কুমির বাচ্চা ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তে কাতারে কাতারে উৎসাহী মানুষ মানুষ ভীড় জমায় নদীর চরে।কুমির পাওয়া গেছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বনদপ্তরে অধিকারীরা।স্থানীয় মানুষ ও বন দফতরের মতে খেজুরি তথা কাঁথির সমুদ্র উপকূলে কুমির ধরা পড়ার ঘটনা সম্ভবত এই প্রথম।জানা গেছে মৎস্যজীবিদের জালে ধরা পড়া এই বাচ্চা কুমিরটি বর্তমানে বন দপ্তরের খেজুরির বিট অফিসের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
বন দফতর সুত্রে জানা গেছে মৎস্যজীবিদের জালে ধরা পড়া এই কুমিরটি লম্বা প্রায় এক ফুট।স্থানীয়দের সুত্রে জানা গিয়েছে শনিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটে।উল্লেখ্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি নিচকসবা গ্রামের বাসিন্দারা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নিবারন করেন।সেই কারনেই এই এলাকার বাসিন্দা এশায় মৎস্যজীবী নভেন্দু দাস সমুদ্র সংলগ্ন খাঁড়িতে সকালে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর জালে উঠে আসে কুমিরটি।আজব এই প্রানীকে দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে যান তিনি ।
তবে সামান্যক্ষনের পরে বুঝে যান তাঁর জালে কুমির ধরা পড়েছে।নভেন্দু বাবুর সাথে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবিদের মধ্যে এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়।দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়ে ঘটনাটা।খেজুরীতে কুমির দেখতে পাওয়া গেছে এমন খবর পেয়ে বহু মানুষ সেই প্রানীটিকে দেখতে ভিড় জমায়। এলাকার বাসিন্দা আট থেকে আশি সব বয়সের পুরুষ ও মহিলারা ঘটনাস্থলে ভীড় করেন ।খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরে। দ্রুত ঘটনার স্থলে ছুটে আসেন বনদপ্তরের অধিকারীরা।
জেলা বন দপ্তরের অতিরিক্ত আধিকারিক এসে কুমিরটিকে নিয়ে যান।তবে কি ভাবে কুমির বাচ্চা খেজুরিতে এলো সেই নিয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারেন নি ।এর পিছনে সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া আমফান ঝড়ের কোন হাত আছে কিনা সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে