
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত শহর দিঘার পরিবেশ দূষন নিয়ন্ত্রনে এবং করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকারে উল্লেখ যোগ্য পদক্ষেপ নিলো রাজ্য সরকার।রবিবার থেকে দিঘা মোহনায় চালূ হল ইলেক্ট্রিক চুল্লীর শ্মশান।
প্রসঙ্গত গত ২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত শহরের সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি এখানকার পরিবেশ দূষন নিয়ন্ত্রনে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।সেই প্রকল্পের অন্যতম ইলেক্ট্রিক চুল্লীর শ্মশান।রবিবার থেকে দিঘায় বহু কাঙ্খিত ইলেক্ট্রিক চুল্লীর শ্মশান চালু হল ।
সমুদ্রের পাশে তৈরী বৈদ্যুতিক চুল্লির শ্মশান ঘাট চালু করতে ৫ কোটি টাকা ব্যায় হয়েছে।রামনগর-১ ব্লকের পদিমা-২ পঞ্চায়েত এলাকার দিঘা মোহনায় এই শ্মশান তৈরী করা হয়েছে।জানা গেছে প্রাথমিক ভাবে করোনা রোগীদের জন্য দুটি চুল্লি ব্যবহার করা হবে।আর বাকি দুটি চুল্লি সাধারণ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।এদিন জেলার তিনটি করোনায় আক্রান্ত মৃতদেহ দাহ করে চালু করা হয় চুল্লী।
রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি জানিয়েছেন সমুদ্র নানা ভাবে দূষিত হয় ।এরমধ্যে অন্যতম সমুদ্র তটে শবদাহ।বিধায়ক বলেন দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন দিঘায় ইলেক্ট্রিক চুল্লীর শ্মশান নির্মান করার জন্যে।বাম আমলে সেই দাবি পুরন হয়নি।তবে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নজরে আনার পরেই তিনি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেন ।
রামনগর ১ ব্লকের বিডিও বিষ্ণুপদ রায় বলেন প্রয়োজনীয় প্রমানপত্র নিয়ে গেলেই এই শ্মশানে দাহ করা যাবে মৃতদেহ।বলেন আলাদা করে করোনা আক্রান্ত রোগীর দাহ করা নিয়ে বিশেষ কোন ব্যাবস্থা নেই ।তবে দুটি চুল্লী আলাদা আছে ।পাশাপাশি দাহের পর পুরো এলাকা স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।বলেন কাঁথি কিংবা স্থানীয় এলাকার কোন বাসিন্দা যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান,তাঁর দাহ কাজে যাতে কোন সমস্যা না হয় তার জন্যেই এই উদ্যোগ।