
মিড ডে মিল প্রকল্পের রাজ্যের অধিকর্তা গত ১৫ জুলাই ‘র অাদেশনামায় প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্তরের ছাত্র -ছাত্রী পিছু অগাস্ট মাসের মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য ২ কেজি চাল, অালু ২ কেজি,ডাল ২৫০ গ্রাম,সোয়াবিন ১০০ গ্রাম,সাবান -১ টি করে বরাদ্দ করেছেন। মোট বরাদ্দ পড়ুয়া পিছু ১০৫ টাকা।
চালের সরকারী সরবরাহের সুযোগ থাকলেও বাকী সামগ্রী বাজার থেকে স্কুলে কতৃপক্ষকে কিনতে হবে।২ কেজি অালুর জন্য সরকারী বরাদ্দ ৫২ টাকা,২৫০ গ্রাম ডালের জন্য ২৮ টাকা,১০০ গ্রাম সোয়াবিন ১৫ টাকা, ১ টি সাবানের জন্য ১০ টাকা। কিন্তু লকডাইন জনিত পরিস্থিতিতে অালু, সব্জী, ডাল,সোয়াবিন সহ সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্য অবস্থা। অালুর দাম কেজি পিছু ৩০/৩৫ টাকা।ডালের দামও ক্রমবর্ধমান।
এই অবস্থায় সরকারী অর্থ বরাদ্দ অনুযায়ী অালু সহ অন্যান্য সামগ্রী বাজার থেকে কিনে ছাত্র-ছাত্রীদের বিতরণ করা শিক্ষকদের পক্ষে প্রায় দুঃসাধ্য। মিড-ডে মিল প্রকল্পে পড়ুয়া পিছু বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবী জানিয়ে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছেন সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন।
প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মামুদ হোসেন বলেন মিড-ডে মিল প্রকল্পে পড়ুয়া পিছু বরাদ্দ বৃদ্ধি না করলে সামগ্রী সমূহের গুণগত মানের অবনতি বা পরিমান কমের সম্ভাবনা বেশি। যেটা একদম অনভিপ্রেত বলে জানান মামুদ হোসেন।
মামুদ হোসেন বলেন জুলাই মাসে মিড-ডে মিল প্রকল্পের জেলা অাধিকারিক প্রথমে স্কুল কতৃপক্ষ কে বাজার থেকে স্যানিটাইজার কিনতে নির্দেশ পাঠান।৫০ মিলি স্যানিটাইজারের জন্য পড়ুয়া পিছু ২২ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। অনেক স্কুল স্যানিটাইজার কেনার বরাতও দিয়ে দেন।জেলায় স্যানিটাইজার কেনার জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় ২ কোটি টাকা। পরে অজানা কারণে সরকারী নির্দেশ অাসে ব্লক অফিস থেকে স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হবে।
ঘটনায় প্রকাশ স্কুলে স্কুলে অত্যন্ত নিম্নমানের স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়।অগাস্ট মাসের মিড-ডে মিলের পড়ুয়া পিছু বরাদ্দ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি গতমাসে নিম্নমানের স্যানিটাইজার সরবরাহের ও তদন্তের দাবী জানিয়েছেন সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন।