
প্রদীপ কুমার সিংহ
ফের বারুইপুরে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিললো। বারুইপুর ব্লকের মল্লিকপুরের কাজি পাড়ায় ও পাঁচঘড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দুইজন ৫০ উরদ্ধের ব্যাক্তি। এঁদের দুইজনই কলকাতার বাঙ্গুর হাসপাতাল ও বাইপাসের বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি আছেন।
এর পাশাপাশি বারুইপুরের বেগমপুর পঞ্চায়েতের পুড়ি এলাকায় বছর ২৬ এর এক মহিলা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি আছেন। এদিকে মল্লিকপুরের কাজিপুর,পাঁচঘড়া এলাকার পাশাপাশি সিল করে দেওয়া হয়েছে পুড়ি এলাকা। চলছে মাইকিং। মল্লিকপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতের প্রধান হবিবুর রহমান বৈদ্য বলেন, পাঁচঘড়া এলাকার বাসিন্দা জুলফিকার মন্ডলের হার্টের সমস্যা ছিল। তাঁকে মেডিকা নার্সিং হোমে নিয়ে গেলে সেখানে পরিক্ষার পর তার রিপোর্টে কোভিড ১৯ ধরা পড়ে। পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে কাজিপাড়ার বাসিন্দা খুরসিদ আলম অ্যাসমা রোগ নিয়ে ভুগছিলেন। তাঁকে প্রথমে বেলেঘাটা আই ডি তে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে তারও রিপোর্টে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তাকে বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই দুটি এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে টেস্ট করানো হবে। এদিকে সোমবার সকালে মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু সেচ্ছাসেবক কাজিপাড়ার এলাকার কিছু দোকান বন্ধ করতে গেলে তাঁদের কে তাড়া করা হয় বলে অভিযোগ।
তারপর বারুইপুর থানার পুলিশ উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ কে ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ বোঝাতে থাকে তাঁদের এই এলাকা কন্টাইমেন্ট জোন তাই দোকান বন্ধ করতে হবেই। তারপরেও বাসিন্দারা প্রথমে শান্ত না হলেও পরে তাঁদের কে পুলিশ সরিয়ে দেয়।এদিকে বারুইপুরের বেগমপুর পঞ্চায়েতের পুড়ি এলাকায় করোনা আক্রান্তের খবর প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান অমর মন্ডল বলেন, বছর ২৬ এর গৃহবধু আসুরা মন্ডল গলব্লাডারে স্টোন নিয়ে সল্টলেকের এক নার্সিং হোমে ভর্তি ছিল।
তার সার্জারির পর প্রথম রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।পরে তার আবার দ্বিতীয় টেস্টে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওই মহিলা কলকাতার এক নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। এরপরেই এই এলাকা সোমবার পুরো সিল করে দেওয়া হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে। এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হবে।