
প্রদীপ কুমার সিংহ
ভাঙড়ঃ ভাঙড়ের চন্ডিপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার হল এক বাংলাদেশি নাবালক।লকডাউনের আগেই মায়ের বকা খেয়ে সে ভারতে পালিয়ে এসেছিল।পেট্রাপোল বর্ডার, শিয়ালদহ হয়ে ওই শিশুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙড়ে চলে আসে।ভাঙড় থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দিয়ছে।উদ্ধার হওয়া নাবালকের আসল বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে।
পুলিশ সূত্রের খবর,বাড়িতে মা বকাবকি করায় মাস দুয়েক আগে ওই শিশু বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাড়ি থেকে পালিয়ে ভারতের সীমানায় চলে আসে।বাড়ি থেকে বেরিয়ে মাঠ,ঘাট পেরিয়ে সে বনগাঁ বর্ডারে আসে।তারপর বর্ডার পেরিয়ে ট্রেনে করে শিয়ালদা স্টেশনে চলে আসে।সেখানে ঘোরাঘুরি করে একটি মুদিখানার দোকানে কাজ জুটিয়ে নেয়।তারপর লকডাউন শুরু হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় ওই দোকান।
কাজ হারিয়ে সে সেখান থেকে ঘুরতে ঘুরতে ১৯ এপ্রিল ভাঙড়ের চন্ডিপুর এলাকায় চলে আসে।সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় কোথায় যাবে বুঝে উঠতে না পেরে সে একটি মিষ্টির দোকানের সামনে বসে কাঁদতে থাকে।তাকে কাঁদতে দেখে স্থানীয় এক যুবক ভাঙড়ের বাড়জুলি গ্রামে তার এক আত্মীয় হাসেম আলী বৈদ্যের বাড়িতে নিয়ে যায়।এই কয়েকটা দিন সে সেখানেই ছিল।এদিন সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ওই শিশুকে হাসেমের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তারপর তাকে চাইল্ড লাইনে হাতে তুলে দেওয়া হয়।হাসেম বলেন,আমার কয়েকজন আত্মীয় স্বজন বাংলাদেশে থাকেন।
আমি তাদের মাধ্যমে চেষ্টা করেছিলাম ওই শিশুর পরিবারের খোঁজ করতে। কিন্তু কোনভাবেই তার পরিবারের খোঁজ করতে পারেনি।আর শিশুটিও সবকিছু ঠিকঠাক বলতে পারছে না।আমি চাই ও তার পরিবারের কাছে ফিরে যাক।ওই শিশু বলে,আমি আর আমার দুই বোন বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকি।মা প্রায়ই বকাবকি করে।সেই কারণেই বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে এসেছি।