
প্রদীপ কুমার মাইতি
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্তোৎসবে হওয়া বিতর্কিত ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরি। শুক্রবার রাতে নিজের ইস্তফাপত্র তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পাঠান। কিন্তু এই পরিস্থিতি আর কারণে উপাচার্যের ইস্তফা গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘উপাচার্য তো কোনও দোষ করেননি। বাংলার সংস্কৃতির মুখে কালি ছিটিয়েছে যারা, তাদের শাস্তি পেতে হবে। উপাচার্য তো কোনও ভুল করেননি।’
রবীন্দ্রভারতীর বসন্তোৎসব যথেষ্ট বিখ্যাত। প্রায় মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে প্রবেশপত্র বিলির কাজ। কারণ, ওই একটিমাত্র দিনই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হয় প্রায় সকলকেই। তাই বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বসন্তোৎসবে শামিল হন।
বৃহস্পতিবারও ওই নিয়মের অন্যথা হয়নি। তবে ঐতিহ্যমণ্ডিত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়।কারন বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসবে পিঠে রবীন্দ্রনাথের গানের কুরুচিকর প্যারোডির শব্দ লিখে বিতর্কে জড়ায় কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া। সমাজের সবস্তর থেকেই এই ঘটনার পর উঠেছে নিন্দার ঝড়।
ওই কুরুচিকর ছবির প্রেক্ষিতে শুক্রবার সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর তা নিয়ে শাসকদলের এক নেতা সব্যসাচী বাবুর কাছে জবাবদিহি চান বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে আঘাত পান বলে জানাচ্ছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল। তাই উপাচার্যের পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়ে দিলেন বলে মনে করছেন অনেকে।
যদিও রবীন্দ্রভারতী কাণ্ডে রবীন্দ্রনাথের গান বিকৃত করে আবির দিয়ে বুকে-পিঠে লেখা অশ্লীল শব্দ কাণ্ডে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছে ৫ পড়ুয়া। এরা সকলেই বহিরাগত এবং এরা হুগলির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।