
বিজয়া দশমীর দিন স্কুলশিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি ও ছ’বছরের ছেলে অঙ্গনকে খুন করা হয়। এই ঘটনা সামনে আসতেই সারা রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে খুন হওয়া শিক্ষকের বাড়ি থেকে রক্তমাখা একটি বিমার কাগজ উদ্ধার করে। তার সূত্র ধরেই, সাত দিন পর জিয়াগঞ্জে সপরিবার শিক্ষক খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ।
মুর্শিদাবাদেরই সাগরদিঘি থেকে, উৎপল বেহরা নামে বছর কুড়ির এক তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে উত্পল। ২৪ হাজার টাকা নিয়ে গোলমালের জেরেই, আক্রোশ বশত এই খুন বলে পুলিশকে জনিয়েছে ওই তরুণ।
আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার উৎপলকে তার গ্রাম সাহাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই সাহাপুরের প্রাথমিক স্কুলেই পড়াতেন বন্ধুপ্রকাশ।