
মাত্র ২০০ টাকা। ডাব চিংড়ির সঙ্গে ভাত, ডাল, আলুভাজা, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি। সঙ্গে পাবেন নলবনের মন ভোলানো পরিবেশ। লেকের হাওয়া। চাইলে ভেতরে ঢাকের বোলের সঙ্গে বিলাসবহুল এসি রুমে বসেও খেতে পারেন মাছের বা মাংসের হরেক পদ। দাম? কলকাতার নামী–দামি বাঙালি খাবারের দোকান গুলির থেকে অনেক অনেক কম। রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম বা এসডিএফসি পরিচালিত ‘ভুরিভোজ’ শনিবার থেকেই শুরু করল পুজোর স্পেশ্যাল প্যাকেজ। চলবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
সল্টলেক সেক্টর ফাইভের মতো এলাকায় খুব সস্তায় রুচিসম্মত পরিবেশে ভাল খাওয়ার ঠিকানা হিসাবে এমনিতেই নাম করেছে ‘ভুরিভোজ’। বিভিন্নরকম প্যাকেজ থাকছে পুজোর ক’দিন। সেই প্যাকেজে নলবনের মাছ তো থাকছেই, থাকছে ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের গলদা, ভেটকি, রূপনারায়ণের ইলিশও। মাটন বিরিয়ানি বা চিকেন রেজালার স্বাদও থাকছে পুজো স্পেশ্যালে। থাকছে নিরামিষাশীদের জন্যও বিশেষ বন্দোবস্ত।
২০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকার বিভিন্ন থালি রয়েছে পুজোর প্যাকেজে। ইলিশ পাতুরি, চিংড়ি মালাইকারি, পটলের দোলমা, ইলিশের মাথা দিয়ে কচুশাক, পাবদা ঝালের মতোই থাকছে তন্দুরি চিকেনও। থালির নামগুলিও বেশ আকর্ষণীয়। শারদীয়া থালি, পুজোর রাজভোগ থালি, বাদশাহি পুজো স্পেশ্যাল থালি, নিরামিষ পুজোর থালি, পুজোর মহাভোজ থালি, শারদীয়া উৎসবের থালি এবং পুজো স্পেশ্যাল মোগলাই থালি। ইলিশ বাদে সব মাছই মৎস্য দপ্তরের নিজস্ব জলাশয়ে উৎপাদিত। টাটকা মাছ। পুজোর সময় রাত বারোটা অবধি খোলা থাকবে ‘ভুরিভোজ’। ভোজনরসিকরা খুশি। শনিবার কথা হচ্ছিল যাদবপুরের অর্পিতা বসু বা সল্টলেকেরই শতরূপা সরকারের সঙ্গে। তাঁরা নিয়মিত আসেন ‘ভুরিভোজে’।
এসএফডিসি–র এমডি সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উৎসবের দিনগুলিতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মৎস্য দপ্তরের গাড়ি ঘুরে বেড়াবে। বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপে স্টলে মিলবে বিভিন্ন ধরনের মাছের পদ। কাঁচা মাছ বিক্রি আগেই শুরু হয়েছে। খুব সম্ভবত পুজোর আগেই মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ এসএফডিসি–র নতুন অ্যাপ চালু করবেন। এই অ্যাপ–এর মাধ্যমে কাঁচা বা রান্না করা মাছ গ্রাহকদের চাহিদা মতো কলকাতা বা হাওড়ায় বাড়িতে পৌঁছে দেবে এসএফডিসি। বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠানেও চাহিদা মতো মাছ সরবরাহ করার পরিকল্পনার আছে।